নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বেসামাল হয়ে পা হড়কে চৌবাচ্চায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু, নাকি সহকর্মীদের সঙ্গে বচসার জেরে খুন! উত্তর পেতে ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকার গ্যারাজের প্রত্যেক কর্মী এবং রাতে উপস্থিত সকলকে ডেকে দফায় দফায় জেরা শুরু করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেও এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে শহিদ কলোনির বাসিন্দা শ্রীদাম বর্মনের সঙ্গে নেশার আসরে কারা সঙ্গী ছিল, শেষ পর্যন্ত কে ওই গ্যারাজ থেকে বের হয়েছিল, তদন্তে সমস্তটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই রাতে গ্যারাজ থেকে বের হওয়ার রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যাদের দেখা গিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে তাদের গতিবিধি এবং পুরনো রেকর্ডও তদন্ত করে দেখছেন কমিশনরাটের শীর্ষ আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বিশ্বকর্মা পুজোর বিকেলে ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন ডাম্পিং গ্রাউন্ড চত্বরের একটি গাড়ির গ্যারাজ থেকে শ্রীদাম বর্মনের (২৪) দেহ উদ্ধার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। গ্যারাজের ভিতরের গাড়ি ধোয়ার একটি চৌবাচ্চা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃতের মাথার পিছনে গুরুতর আঘাতে চিহ্নও মিলেছে। বৃহস্পতিবার যুবকের দেহ ময়নাতদন্ত করার পর তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জয়দীপ নন্দী বলেন, ছেলেটির এভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। রাতে মদ্যপান করেছিল বলে জেনেছি। পুলিশ প্রকৃত কারণ দ্রুত উদ্ঘাটন করুক।
অন্যদিকে, এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়। খুন নাকি দুর্ঘটনা, তা নিয়ে চর্চা চলছে। চৌবাচ্চায় জলের পরিমাণ এবং তার গভীরতা নিয়েও দিনভর আলোচনা হয়। গ্যারাজের কর্মীরাই জানিয়েছেন, চৌবাচ্চায় প্রায় চার মিটার উচ্চতা পর্যন্ত জল ছিল। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, যদি অতিরিক্ত মদ্যপ অবস্থায় কেউ বেসামাল থাকেন সেক্ষেত্রে চৌবাচ্চার জলে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যু হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছিল কি না তা তদন্ত সাপেক্ষ।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি রাকেশ সিং বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। সম্ভাব্য সবদিকই খতিয়ে দেখছি। শ্রীদাম বর্মন।