• ‘আমরাই সেতু গড়ব’, অনুমতির দাবিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ
    বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: মুন্ডেশ্বরীর শাখা হরিনাখালী নদীতে সেতু নির্মাণের অনুমতির দাবিতে খানাকুলে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে খানাকুলের বালিপুর শাসমল বাড়ি মোড়ে অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা শামিল হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ, প্রশাসনের আধিকারিকরা সেখানে যান। ঘটনাস্থলে যান খানাকুল ১ বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিতে অবরোধ ওঠে। বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে সেতু তৈরির আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে বাসিন্দারা চাঁদা তুলে একটি লোহার সেতু নির্মাণ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নদীর ওই ঘাটে যাত্রী পারাপারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে প্রশাসন। তাতেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। 

    বিডিও বলেন, পুলিশের অপ্রতুলতার কারণে ঘাটের নিলাম স্থগিত করা হয়েছিল। তা আগেই জানানো হয়েছে। তবু এদিন অবরোধের খবর শুনে এলাকায় গিয়েছিলাম। আপাতত ডাকের নিলাম স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেতু তৈরির ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন প্রয়োজন। তারজন্য আইনানুগ ভাবে এগনোর ব্যাপারে বলেছি। বাসিন্দাদের আর্জি মেনে ঘটনাস্থলেই তা লিখিতভাবেও বলেছি।  স্থানীয় বাসিন্দা তথা সেতু তৈরির উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম রামচন্দ্র সামন্ত বলেন, আমাদের গ্রাম নদী দিয়ে ঘেরা। যাতায়াতে খুব সমস্যা হয়। প্রশাসনকে জানিয়েও সেতু হয়নি। তাই গ্রামবাসীরা মিলে লোহার সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্যে তার নকশাও প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতি ঘাটের নিলাম ডাকে। তার প্রতিবাদে বাসিন্দারা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীর উদ্যোগে সেতু তৈরির ব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলকে জানিয়েছি। সেচদপ্তরের মৌখিক আশ্বাসে সেতু নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। 

    সেচদপ্তরের চাঁপাডাঙা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মণিশঙ্কর দত্ত বলেন, ওই এলাকার বাসিন্দাদের উদ্যোগে সেতু নির্মাণের অনুমোদনের পদ্ধতি আগেই জানিয়েছি। কিন্তু অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না, জানা নেই। শীঘ্রই এলাকায় গিয়ে এ ব্যাপারে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলব।  বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খানাকুলের বালিপুরে মুন্ডেশ্বরী নদীর শাখা হরিনাখালী খাল বয়ে গিয়েছে। বালিপুর ও কনকপুরের মাঝে লোহার সেতু তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন বাসিন্দারা। সেতুটি চওড়ায় হবে প্রায় আট ফুট। বর্ষায় জলস্ফীতির কথা চিন্তা করে উচ্চতা বজায় রেখে সেতু তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে সেখানে বাসিন্দাদের উদ্যোগেই নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত চলে। 
  • Link to this news (বর্তমান)