সংবাদদাতা, কান্দি: কান্দি পুরসভার ১১নম্বর ওয়ার্ডে কোনও পারিবারিক দুর্গাপুজো নেই। এখানকার আটটি পুজোই সর্বজনীন। প্রতিটি পুজো মণ্ডপ সুন্দর আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়। এখন বৃষ্টির কারণে পুরসভার তরফে ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কার ও আলোর ব্যবস্থা করার কাজ থমকে রয়েছে। সেজন্য স্থানীয় বাসিন্দারা বৃষ্টি থামার প্রহর গুনছেন।
কান্দি শহরের একেবারে দক্ষিণে এই ওয়ার্ড রয়েছে। কান্দি কালীবাড়ি মোড় থেকেই ওয়ার্ড শুরু। কালীবাড়ির পরেই ভরতপুর-১ ব্লক। ওয়ার্ডে বহুবছর ধরে আটটি দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। আরএমসি মাঠের কাছে অরবিন্দপল্লি সর্বজনীনের পুজো হয়। এছাড়া, কালীবাড়ি মোড়, কালীবাড়ি শিরিষতলা, শিবরামবাটি, ষষ্ঠীতলা, তালারপাড়, মোড়লপাড়া ও বিজয়নগর সর্বজনীনের পুজো রয়েছে। এবছর ওয়ার্ডের প্রতিটি পুজো কমিটি রাজ্য সরকারের অনুদান পেয়েছে। ১১নম্বর ওয়ার্ডের পুজোর বিশেষত্ব হল, এখানকার প্রতিটি মণ্ডপ আকর্ষণীয় আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়। দুর্গোৎসবের ক’দিন নিজেদের ওয়ার্ডের পুজো নিয়েই এলাকার বাসিন্দারা মেতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা অরিন্দম চৌধুরী বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে কোনও বিগ বাজেটের দুর্গাপুজো নেই। তবে প্রতিটি পুজো কমিটি স্থানীয়দের নিয়ে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচির ব্যবস্থা করে। যা ওয়ার্ডের প্রতিটি পরিবারকে একসূত্রে বাঁধতে সাহায্য করে। অন্য ওয়ার্ডের মতো এখানেও কান্দি পুরসভার তরফে রাস্তা সংস্কার শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় পথবাতি বদলে ফেলা হয়। কিন্তু বৃষ্টির জেরে মাঝপথেই কাজ থমকে রয়েছে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুবীর হাজরা বলেন, আটটি পুজো ঘিরে বাসিন্দাদের মধ্যে এখন থেকেই উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। প্রতিটি বাড়িতেই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টির কারণে কিছু কাজ আটকে আছে। বৃষ্টি থামলেই ফের পুরোদমে কাজ শুরু হবে। পুজোর আগেই পুরো এলাকা ঝাঁ চকচকে করে তুলতে পুরসভা উদ্যোগী হয়েছে।
ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক মহাদেব প্রিয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবছর কয়েকটি পুজো কমিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করছে। বিশেষ করে কালীবাড়ি পুজো কমিটির তরফে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ছাড়াও বাউল ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে।