• মণ্ডপের জমি কিনতে ফাঁকা চেক দিয়েছিলেন কারখানার বড় কর্তা
    বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজনিল্যান্ড পার্ক বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। সেই পার্কের থিমে সাজছে দক্ষিণ নাটাগড় সর্বজনীন দুর্গোৎসব। ৭৫ বছরে পা দেওয়া পুজো ঘিরে সাজো সাজো রব পড়েছে উদ্যোক্তাদের মধ্যে। শুধুমাত্র থিম নয়, প্রতিমাতেও থাকছে চমক। 

    সাত দশক আগে নাটাগড় ছিল গ্রাম। এলাকায় খুব বেশি পুজোও হতো না। তাঁতিপাড়া থেকে কিছুটা দূরে কদমতলা বাজারে পুজো হতো। তখন তাঁতিপাড়ার বাসিন্দারা নিজেরাই দুর্গাপুজোর পরিকল্পনা করেন। কিন্তু পুজো করব বললেই তো হয় না। মণ্ডপের জন্য জায়গা প্রয়োজন। জায়গা কেনার টাকা আসবে কোথা থেকে? এনিয়ে নাটাগড় মেইন রোডে নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছিল। সেই সময় রাস্তা দিয়ে স্থানীয় কারখানার এক ম্যানেজিং ডিরেক্টর যাচ্ছিলেন। তিনি বাকবিতণ্ডা শুনে দাঁড়িয়ে যান। সমস্ত কিছু শুনে তিনি ফাঁকা চেকে সই করে তা পুজোর উদ্যোক্তাদের হাতে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মায়ের মণ্ডপের জন্য জমি কিনতে যত টাকা লাগে বসিয়ে নিও। এরপর নতুন জমি কিনে শুরু হয়েছিল পুজো। দেখতে দেখতে সেই পুজো এবার ৭৫ বছরে পা দিয়েছে। কলেবরে বড় হওয়া সেই পুজোর বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। তৈরি হচ্ছে ডিজনিল্যান্ড। কুমোরটুলির প্রথিতযশা শিল্পী পশুপতি রুদ্র পাল তৈরি করছেন প্রতিমা। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দুপুরে পাতপেড়ে প্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়া এলাকার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি খেলোয়াড়দেরও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা সমীর দাস ও বাদল দে বলেন, এই পুজো নাটাগড়ের প্রাণের পুজো। জাতপাত ও ধর্ম নির্বিশেষে সবাই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। আশা করছি, এবার আমাদের মণ্ডপ সবার নজর কাড়বে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)