• জমি বিক্রির নাম করে প্রতারণা চক্র, পাঁচলায় পুলিশের জালে মা ও ছেলে, আড়াই কোটি খুইয়ে বিপাকে ভবানীপুরের ব্যবসায়ী
    বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জমি বিক্রির নাম করে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে মা-ছেলে বিরুদ্ধে। ভবানীপুরের এক ব্যবসায়ীকে হাওড়ার পাঁচলায় ১০০ কাঠা জমি পাইয়ে দেওয়ার নামে দু’জনে এক কোটি টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। তদন্ত নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পাঁচলা থানার হাতে। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মা কুন্তলা রায় ও ছেলে শুভ্রজিৎ রায়কে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ চলছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুর এলাকার রমেশ মিত্র রোডের এক ব্যবসায়ী পাঁচলায় জমি খুঁজছিলেন। তাঁর ১০০ কাঠা জমির প্রয়োজন ছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন অলোক ভুঁইয়া নামে এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত জানায়, জমি তাদের হাতে রয়েছে। এরপর একটি জমিও তাঁকে দেখায় অভিযুক্তরা। জমির মালিক সেজে  মা  ও ছেলে বিভিন্ন সময় অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর  জমির জাল দলিল তৈরি করে ওই ব্যবসায়ীকে দেওয়া হয়। জমির দাম বাবদ ২ কোটি ৩৯ টাকা লক্ষ টাকা নেয় অভিযুক্তরা। পরে ওই ব্যবসায়ী জানতে পারেন, সমস্ত নথি জাল। এরপর তিনি অভিযোগ করেন পাঁচলা থানায়। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা একটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টটি ফ্রিজ করা হয়েছে। 

    তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে অলোককে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, এর পিছনে একটি চক্র রয়েছে। যার মাথায় হল মা ও ছেলে। বিভিন্ন লোককে জমি দেবে বলে তারা জাল নথি তৈরি করছে। এরপর সেই জমি বিক্রি করে মোটা টাকা হাতাচ্ছে। কারা জমি কিনতে আগ্রহী পাঁচলা এলাকায় তার খোঁজখবর করত মা–ছেলে। এরপর সংশ্লিষ্টের কাছে জমির জাল নথি নিয়ে পৌঁছে যেত চক্রের লোকজন।  প্রতারণার টাকা জমা পড়ত কুন্তলা রায় ও তার ছেলের অ্যাকাউন্টে। ভবানীপুরের ওই ব্যবসায়ীর টাকা জমা পড়েছে তাদের অ্যাকাউন্টে। মা-ছেলে মিলে এভাবে প্রতারণা ব্যবসা  চালাচ্ছে। এরপরই  বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচলা থেকে। বৃহস্পতিবার তাদের হাওড়া আদালতে তোলা হলে সরকারি কৌঁসুলি তারাগতি ঘটক বলেন, অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়ার নির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। তার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’জনকে। সওয়াল শেষে বিচারক তাদের পুলিশি হেপাজতে পাঠান। কতজনের সঙ্গে তারা প্রতারণা করেছে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)