• পাশে ইউনেস্কো, পুজো নিয়ে নয়া এসওপি
    আনন্দবাজার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ফের ইউনেস্কোর উদ্যোগের হাত ধরে ঢাকে কাঠি দুর্গোৎসবে। চার বছর আগে দুর্গাপুজোকে বিশ্বের ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ বা আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় বেছে বিশ্ব অঙ্গনে মেলে ধরেছিল তারা। এ বার উৎসব সকলের জন্য অবাধ ও সুগম করে তোলার ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর’ (অ্যাকসেসিবিলিটি এসওপি) বা প্রণালী প্রকাশে শরিক হল ইউনেস্কো।

    আশ্বিনের প্রথম সন্ধ্যায় পুজোর শিল্পের প্রিভিউ শোয়ের উদ্বোধনী আসরে রাজডাঙা নবউদয় সঙ্ঘের মাঠে আসেন ইউনেস্কোর দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর তথা ভারতে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি টিম কার্টিস। ভারতে অন্তত ২.২ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও ৮.৬ শতাংশ বয়স্ক জনসংখ্যার কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মণ্ডপ সবার জন্য সুগম ও অবাধ করাটা দয়া নয়, ন্যায় প্রতিষ্ঠা। প্রতিবন্ধীদের উৎসবে শরিক হওয়াটা প্রাপ্য অধিকার। এটাই সত্যিকার সর্বজনীন আদর্শ।’’ প্রিভিউ শোয়ের উদ্যোক্তা সংস্থার তরফে ধ্রবজ্যোতি বসু শুভ জানান, প্রিভিউয়ের ২৪টি মণ্ডপে এসওপি-র প্রয়োগ হচ্ছে। কার্টিসের আশা, পরের বার ৩০০টি মণ্ডপ বা ভারতের গণ উৎসবেও এই বিধি ছড়ানো যাবে।

    রাজ্য সরকার, আইআইটি খড়্গপুর ও ইউনেস্কোর গাঁটছড়ায় তৈরি এই এসওপি। আইআইটি-র স্থাপত্যবিদ্যা ও আঞ্চলিক পরিকল্পনার অধ্যাপিকা হৈমন্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২৪টি পুজোর সঙ্গে কর্মশালা করেছি। প্রবেশপথে র‌্যাম্প, ব্রেল নির্দেশিকা, প্রতিবন্ধীদের শৌচাগারের ব্যবস্থা ছাড়াও জোর দিচ্ছি কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহৃদয় দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে। প্রতিবন্ধীরা যাতে শান্ত পরিবেশে মণ্ডপ উপভোগ করতে পারেন বা অঞ্জলি দিতে পারেন, তার জন্য পরিসর তৈরির কথাও বলা হয়েছে।’’ ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রিভিউ শো। আলিপুর সংগ্রহশালায় একটি প্রদর্শনীও খোলা হয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)