অনামিকা মৃত্যুরহস্যে জিজ্ঞাসাবাদ ১৩ পড়ুয়াকে, মত্ত ছিলেন কি না জানতে শুরু হল ভিসেরা পরীক্ষা
আনন্দবাজার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
লালবাজারের গোয়েন্দা দফতর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের খুনের মামলায় ১৩ জন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এর মধ্যে অনামিকা শেষ সময়ে যাঁদের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তদন্তকারীরা সাত জনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের অদূরে ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী, বেলঘরিয়ার নিমতার বাসিন্দা অনামিকাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনামিকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে মোট তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলির ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা কিন্তু যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে কোনও ক্যামেরা না থাকায় ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ মেলেনি।
লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সিসিটিভিতে যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁদের বয়ান নেওয়া হবে। গার্ড এবং শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। বুধবার জল থেকে যে জুতো পাওয়া গিয়েছিল, তা অনামিকার বলেই প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। শুক্রবার আদালতে অনামিকার বাবা জুতো শনাক্তকরণের জন্য যাবেন। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা নয়, অনামিকাকে পুকুরে ঠেলে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে, এমন অভিযোগই তুলেছিলেন তাঁর বাবা। সেই মর্মে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ এবং হোমিসাইড শাখা। অনামিকা মত্ত ছিলেন কি না জানতে বৃহস্পতিবার ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অনামিকা ওইদিন একাই পুকুরের অদূরে শৌচাগারের দিকে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।