ইরানের চাবাহার বন্দর ব্যবহারে ভারত সহ একাধিক দেশের উপরে থাকা ছাড়ের নির্দেশ প্রত্যাহার করল আমেরিকা
বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর: মুখে বন্ধুত্বের বার্তা। কিন্তু কাজের বেলায় ভারতের উপর প্রতি পদে বাধা সৃষ্টি করেই চলেছে আমেরিকা। রাশিয়ার থেকে জ্বালানি তেল কেনার জন্য অতিরিক্ত শুল্ক নয়াদিল্লির উপর আগেই চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। এবার পণ্য পরিবহণেও নতুন ব্যাঘাত ঘটাল আমেরিকা। ইরানের চাবাহার বন্দরের একটি নিষেধাজ্ঞার উপর ছাড় দিয়েছিল মার্কিন মুলুক। সেই ছাড় তুলে নিয়েছে তারা। ২০১৮ সাল থেকে ইরানের এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ব্যবহার করলে কোনও দেশকে আর শুল্ক বা পেনাল্টি দিতে হতো না আমেরিকাকে। এবার সেই সমস্ত ছাড় তুলে দেওয়ায় ব্যবসা সহ একাধিক বিষয়ে ব্যাপক ক্ষতি হবে ভারত সহ বহু দেশের।চাবাহার দিয়ে ভারত বহু পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করে। পাকিস্তানের জলপথ ব্যবহার না করে ইরান দিয়েই আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পণ্য পরিবহণ করিডরে পৌঁছে যাচ্ছিল নয়াদিল্লি। যাতে সমস্যা দেখা দেবে আমেরিকার এই নতুন সিদ্ধান্তে। ইতিমধ্যেই ভারত চাবাহার দিয়ে আফগানিস্তানে গম ও ওষুধ সহ নানা সামগ্রী পাঠায়, ত্রাণ হিসেবে। তাতেও সমস্যা দেখা দেবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমেরিকার বিদেশ দপ্তর বিবৃতি জারি করে জানায়, ইরানকে একঘরে করতে সর্বাধিক চাপ সৃষ্টি করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে যারা চাবাহার বন্দর নিয়ন্ত্রণ করবে কিংবা এই বন্দরে কাজ করবে, বা পণ্য পরিবহণ করবে, তাদের মার্কিনি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।ইরান ফ্রিডম অ্যান্ড কাউন্টার প্রোলিফেরাশন অ্যাক্টের অধীনে ভারত সহ অন্যান্য দেশগুলি চাবাহার বন্দরে কাজ করতে পারত। দিতে হতো না কোনও মার্কিন শুল্ক। যা এবার থেকে কার্যত উঠেই গেল। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। ওয়াশিংটন চায়, তেহরানের উপরে সর্বোচ্চ চাপ তৈরি করতে। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের। ভারত ইরানের এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের উন্নয়নেরও অংশীদার। সেই বিষয়ে চুক্তিও হয়েছে। মূলত চীনের আরব সাগরে আধিপত্য ঠেকাতে ভারত ব্যবহার করে চাবাহার।