• নদীতে কাপড় পরিষ্কার করতে গিয়ে ভেসে গেল ধোপা! তল্লাশি শুরু
    বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ভরা বর্ষায় জল থইথই করলা নদীতে। আর সেই নদীতেই ভেসে গেলেন ধোপা। আজ, শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরে। নিখোঁজ যুবকের নাম কৃষ্ণ রজক (৪২)। বাড়ি শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। তাঁর খোঁজে নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে সিভিল ডিফেন্স। ধোয়ার জন্য নদীর পাড়ে গামলায় জামাকাপড় ছিল। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কৃষ্ণবাড়ি থেকে নদীর পাড়ে এসে দেখেন, নদীতে জামাকাপড়ের গামলা ভেসে যাচ্ছে। সেটি উদ্ধার করতেই নদীতে নামেন কৃষ্ণ। সাঁতার জানেন না। তার উপর এখন নদী টইটম্বুর। স্রোত বেশি। ফলে নদীতে নামামাত্রই তিনি ভেসে যেতে থাকেন। বাঁচাও বাঁচাও বলে কয়েকবার চিৎকার করেন। নদীপাড়ের কয়েকজন সেই চিৎকার শুনে ছুটেও আসেন। কিন্তু তাঁরা নদীতে নামার আগেই ভেসে যান ওই ধোপা। স্থানীয়দের দাবি, জলপাইগুড়ি শহরের সমাজপাড়ার দিকে ওই যুবককে ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে করলা নদী। এই নদী গিয়ে মিশেছে তিস্তায়। ফলে তিস্তায় জল বাড়লে করলা নদীতেও জল বাড়ে। তাছাড়া জলপাইগুড়ি শহরের জল বিভিন্ন নিকাশি নালা দিয়ে এসে পড়ে করলা নদীতে। এই মুহূর্তে করলা নদী ফুঁসছে। সেই নদীতে নেমেই এদিন ভেসে যান ওই ধোপা। নিখোঁজ ওই যুবকের বউদি রেখা রজক বলেন, গ্রাহকরা জামাকাপড় ধুতে দিয়েছিলেন। নদীর জলে সেসব ধোয়ার জন্য দেওর করলা নদীর পারে গামলায় ওই জামাকাপড় রেখেছিল। কোনওভাবে গামলাটি নদীতে পড়ে যায়। আজ, শুক্রবার সকালে নদীর পাড়ে দেওর এসে দেখে, জামাকাপড়ের গামলা নদীতে ভেসে যাচ্ছে। ওই গামলা উদ্ধার করতে গিয়েই বিপদের মুখে পড়ে সে। খবর পেয়ে আমরাও নদীর পাড়ে চলে আসি। কিন্তু ঘটনার পর তিন ঘণ্টা কেটে গেলেও দেওরের খোঁজ মেলেনি। জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নীলম শর্মা বলেন, কৃষ্ণ রজক নামে ধোপার কাজ করা ওই যুবক আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। নদীতে নেমে তাঁর ভেসে যাওয়ার খবর পেয়ে ছুটে আসি। নদীতে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের নামানো হয়েছে। তারা তল্লাশি চালাচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)