• পরিবহন দপ্তরের ৪ কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার এলাকার ন্যাশনাল হাইওয়ে জাতীয় সড়কের উপর চৌরঙ্গী মোড়ের কাছে রয়েছে পরিবহন দপ্তরের অফিস। আর এই পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে প্রায়শই নানান অভিযোগ উঠে আসে। ফের এমন অভিযোগ উঠে এলো পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকদের উপর।

    এবার শুধু অভিযোগ নয়, ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান আসানসোল কোর্টের এক আইনজীবী। তিনি জানান, আসানসোলের চৌরাঙ্গী এলাকায় পরিবহন দপ্তরের বেশ কয়েকজন আধিকারিক বাইরের রাজ্য থেকে আসা গাড়ির উপর অযথা জরিমানা করছেন। গাড়ি ওভারলোড না থাকলেও ওভারলোড বলে হাজার হাজার টাকা জরিমানা করছেন তাঁরা। সেই জরিমানা আবার নগদে দিতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গাড়ি পিছু দু’হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে যার কোনও রশিদ দেওয়া হচ্ছে না।

    ওই আইনজীবী বীরেন্দ্র কুমার সিং জানান, মাত্র কয়েকদিন আগে এমনই এক ট্রাককে মাঝরাস্তায় দাঁড় করান পরিবহন দপ্তরের বেশ কয়েকজন আধিকারিক। ৩০ হাজার টাকা জরিমানা হিসেবে চান। টাকা দিতে অস্বীকার করেন চালক। তাও তাঁর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নেওয়া হয় ও গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে নেওয়া হয় এবং পরিবহন দপ্তরের পার্কিংয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি​টিকে। এর পর ওভারলোডের জরিমানা করায় গাড়ির মালিক জানান যে, গাড়িতে অতিরিক্ত পণ্য নেই। যদি অতিরিক্ত পণ্যের জন্য জরিমানা করা হয় তাহলে অতিরিক্ত পণ্যসহ গাড়ি ফেরত দেওয়া হোক। কিন্তু তারপরও সমাধান সূত্র না বেরোনোয় ট্রাকমালিক আইনজীবী বীরেন্দ্র কুমার সিংকে জানান। কিন্তু বীরেন্দ্র কুমার সিং ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। অসভ্য ভাষা ব্যবহার করা হয় বলে আইনজীবীর অভিযোগ।

    ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ জানিয়ে উক্ত আইনজীবী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য পরিবহন দপ্তর, আসানসোলের পুলিশ কমিশনারকেও লিখিতভাবে জানান। আসানসোল আদালতে চার পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন উক্ত আইনজীবী। আইনজীবীদের দাবি, আদালত যোগ্য ব্যবস্থা নেবে সে কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলার এডিএম জেনারেল সুহাসিনী ই জানান সরকারকে টাকা দিলে তার রশিদ পাওয়া যাবেই। যদি এ রকম কোনও অভিযোগ ওঠে তা তদন্ত করা হবে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)