রেশন ঠিকভাবে চলছে কিনা দেখতে কেন্দ্রীয় দপ্তরের হানা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পশ্চিম মেদিনীপুরে এক রেশন ডিস্ট্রিবিউটরের গুদাম, চালকল এবং আটা কলে হানা দিল কেন্দ্রীয় সরকারের অডিট টিম। রেশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের হাতে সঠিক পরিমাণে, সঠিক গুণগত মানের খাদ্যশস্য পৌছচ্ছে কিনা তার উপর নজরদারি চালানোই মূলত এই টিমের কাজ বলে জানা যাচ্ছে।
রাজ্য সরকারের অনুমোদিত গুদামগুলি থেকে রেশন ডিস্ট্রিবিউটরদের গুদামে সঠিক পরিমাণে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ জানিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ামকের অফিসে ডাকা একটি বৈঠকে সম্প্রতি সরব খড়্গপুরের তিন রেশন ডিস্ট্রিবিউটর। এর পরেই রাজ্য সরকারের লিগাল মেট্রলজি বিভাগের এক ইন্সপেক্টর খড়গপুর ১ নং ব্লকের ডিমৌলিতে সরকার অনুমোদিত একটি গুদামে হানা দেয়। ওই ইন্সপেক্টর জানান, তিনি যথাযোগ্য জায়গায় রিপোর্ট জমা দেবেন। তারপরেই মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি চালকল, একটি আটা কল এবং খড়্গপুরে এক রেশন ডিস্ট্রিবিউটারের গুদামে হানা দেয় কেন্দ্রীয় অডিট টিম। খাদ্য দপ্তরের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মূলত স্টক রেজিস্টার, মজুত করা চালের গুণগত মান তারা পরীক্ষা করে দেখেন। স্টক এবং সরবরাহের মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হয়। মঙ্গলবার রাত দশটা অব্দি খড়্গপুরের কৌশল্যায় রেশন ডিস্ট্রিবিউটরের গুদামে এই অভিযান চলে।
কৌশল্যায় রেশন ডিস্ট্রিবিউটর অজয় বাকলীর গুদামে সন্ধ্যা নাগাদ ঢোকে কেন্দ্রীয় অডিট টিম। এই টিমের অভিযান প্রসঙ্গে অজয়বাবুর প্রশ্ন, ‘পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রতিটি চালকল, আটা কল এবং রেশন ডিস্ট্রিবিউটারদের গুদামে হানা দিলে ভালো হতো। কিন্তু তাঁরা বেছে বেছে একটি গুদামেই এসেছেন। মানুষের কাছে এই বার্তা যেতে পারে যে এখানে হয়তো অন্যায় কোন কাজ করা হচ্ছে। আমরাই একমাত্র বোধহয় চুরি করছি।’ কিন্তু আদৌ সেটা নয়। জানা গিয়েছে, আতস কাঁচের তলায় রয়েছে কেশপুরের তাপস রায়, মোহনপুর গোমুন্ডার ভরত মাইতি, বেলদার গোপাল আগরওয়াল এবং মেদিনীপুরের ধর্মায় এক রেশন ডিস্ট্রিবিউটারের নামও।