সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশের মাটিতে হেনস্তার শিকার ভারতীয়। স্বামীর অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিকার চেয়ে চিঠি লিখেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে। শিকাগোতে বসবাসকারী ওই মহিলার বাড়ি হায়দরাবাদে। মার্কিন মুলুকের তাঁর স্বামী পুলিশে চাকরি করেন। আর সেই স্বামীর হাতেই দিনের পর দিন মানসিক ও শারীরিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ওই মহিলার। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি।
গত ২২ অগস্ট জয়শংকরকে ওই চিঠি লিখেছেন হানা আহমেদ খান নামের ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ স্বামী মহম্মদ জইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ২০২২ এর ২২ জুন বিয়ে হয় তাঁদের। তারপর থেকেই হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, স্বামীর হাতে রীতিমতো নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তিনি। মহিলা জানিয়েছেন, ভারত ছেড়ে যাওয়ার আগে, তাঁকে রেখে তাঁর সমস্ত নথিপত্র নিয়ে আমেরিকায় চলে গিয়েছেন স্বামী। তাঁকে একপ্রকার ভারতে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওই মহিলার। শুধু তাই নয় শিকাগো পুলিশে কর্মরত ওই ব্যক্তি নাকি বিয়ের ঠিক পরই স্ত্রীকে রেখে আমেরিকা পাড়ি দেন। ২ বছর স্ত্রীকে সেখানে নিয়ে যাননি বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত স্বামী বা তাঁর আইনজীবীর তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ওই দম্পতি নিজেদের ইচ্ছেয় বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। আমেরিকায় ডিভোর্সের মামলা চলছে বলেও জানা যাচ্ছে। ভারত বা আমেরিকা কোনও তরফেই এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মহিলা আরও জানিয়েছেন, তিনি আশা করেছিলেন যে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু সময় এগোলে সমস্যা আরও বাড়ে। এমনকী পুলিশকে ডেকে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি, তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। পুলিশ তাঁর স্বামীকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়। পরে যখন তাঁর স্বামী তাঁকে আমেরিকায় নিয়ে যান এবং তাঁর গ্রিন কার্ডও তৈরি হয়ে যায় তখনই ঘটে বিপত্তি।
মহিলার বক্তব্য অনুযায়ী তাঁর স্বামী তাঁকে এরপর বলেন একসঙ্গে ভারতে যাবেন ও সেখান থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা জানান। ভারতে এসে একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা। এরপর ওই মহিলা যখন তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে হোটেল ছেড়ে বেরোন। ফিরে এসে দেখেন তাঁর গ্রিন কার্ড-সহ সমস্ত নথি উধাও। স্বামীকেও কোথাও খুঁজে পাননি বলে অভিযোগে জানিয়েছেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের কাছে তাঁর আর্জি, তাঁর সমস্ত নথি যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিগত প্রায় ৪-৫ মাস ধরে এই লড়াই চলছে। তিনি চান অবিলম্বে আমেরিকায় ফিরতে এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়তে। হায়দরাবাদে মার্কিন দূতাবাসেও বিশেষ কোনও সাহায্য পাননি বলে দাবি করেছেন তিনি।