তাঁর মাধ্যমে হাফিজ সইদের কাছে শান্তিবার্তা পাঠান মনমোহন! দু’দশক বাদে বিস্ফোরক দাবি ইয়াসিন মালিকের
প্রতিদিন | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬/১১ হামলার পরও প্রতিশোধের পথে না হেঁটে শান্তির বার্তা! সন্ত্রাসবাদ এবং পাক নীতি নিয়ে অতীতে বহুবার সমালোচিত হয়েছে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। এবার ওই জমানারই এক নয়া এবং বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এল। কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক দাবি করলেন, শুধু পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে নয়, জঙ্গিনেতা হাফিজ সইদের সঙ্গেও আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরাতে চেয়েছিলেন মনমোহন সিং। আর সেটার মাধ্যম ছিলেন তিনি নিজে।
সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্টে একটি হলফনামা জমা দিয়েছেন সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ইয়াসিন। ওই হলফনামায় তিনি দাবি করেছেন, ইউপিএ সরকারের আমলে পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও জঙ্গিনেতাদের সঙ্গে ব্যাক চ্যানেল দিয়ে আলোচনার মাধ্যম হিসাবে তাঁকে ব্যবহার করা হত। ইয়াসিনের দাবি, ২০০৬ সালে তিনি নিজে তৎকালীন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর স্পেশ্যাল ডিরেক্টর ভিকে জোশীর নির্দেশে পাক জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদের সঙ্গে দেখা করেন। ভারত সরকারের শান্তি বার্তা তাঁর কাছে পৌঁছে দেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ইয়াসিন মালিক ওই হলফনামায় দাবি করেছেন, তিনিই ভারত সরকারের শান্তিবার্তা জঙ্গিনেতার কাছে পৌঁছে দেন। আসলে ওই সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য স্থাপনের চেষ্টা করছিল মনমোহন সিংয়ের সরকার। আর তাতে শুধু সে দেশের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে নয়, জঙ্গিনেতাদের সঙ্গেও আলোচনা শুরু হয়েছিল বলে ইয়াসিনের দাবি। তিনি হলফনামায় জানিয়েছেন, ভারত সরকারের বার্তা পেয়ে হাফিজ সইদ নাকি সেসময় পাকিস্তানের সব জেহাদি নেতাদের একত্রিত করেন। এবং তাঁদের কাছে ভারত সরকারের বার্তা পৌঁছে দিয়ে শান্তিরক্ষার নির্দেশ দেন। যদিও সেটা যে শুধুই দেখনদারি ছিল, তা তারপর লাগাতার জঙ্গি হামলাতেই বোঝা গিয়েছে। খোদ হাফিজই ২৬/১১ হামলার মতো নারকীয় ঘটিয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়, ইয়াসিন মালিকের দাবি ওই পাক সফর নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁকে ডেকে পাঠান। আইবির স্পেশ্যাল ডিরেক্টর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার উপস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে কথা হয় মনমোহনের। এমনকী পাকিস্তানে গিয়ে হাফিজ সইদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মনমোহন তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন। ইয়াসিন মালিকের এই স্বীকারোক্তি রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দেওয়ার মতো। এর ফলে কংগ্রেসকে যে নতুন করে অস্বস্তিতে পড়তে হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।