পিজিতে একা থাকতেন যুবতী, যৌন লালসায় তাঁরই উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন কামাতুর বাড়ি মালিক, তারপর যা হল জানলে শিউরে উঠবেন ...
আজকাল | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে আবারও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। শহরের একটি পেয়িং গেস্ট (পিজি) আবাসনে এক যুবতীকে চরম যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। এমনকী প্রাণে মারার হুমকি এবং তাঁর ফোন থেকে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা সরানোর অভিযোগে বেঙ্গালুরুতে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ঘটনা ঘিরে শহর জুড়ে তীব্র শোরগোল৷
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম সাইবাবু চেন্নুরু। জানা গিয়েছে সম্প্রতি ওই যুবতীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়েছিল। অভিযোগ, ভোররাত তিনটে নাগাদ আচমকাই ২৪ বছরের ওই যুবতীর ঘরে চড়াও হয় অভিযুক্ত। প্রথমে তাঁর পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং তারপর তাঁর একাধিক আপত্তিকর ছবি তোলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবতীকে যৌন ক্রিয়াকলাপে বাধ্য করার চেষ্টাও করে। বাধা দিলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী ওই যুবতীর কাছে অভিযুক্ত ৭০,০০০ টাকা দাবি করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে যুবতীর ফোন থেকেই নিজের অ্যাকাউন্টে ১৪,০০০ টাকা সরিয়ে নেয়।
শুধু তাই নয়, এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় অভিযুক্ত।বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত চালিয়েছে পুলিশ৷ পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে আরেকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে৷ স্কুলের হস্টেলে ছাত্রের উপর চরম যৌন নিগ্রহ চলে। খবর অনুযায়ী মাসের শুরুতেই বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে একটি বেসরকারি স্কুলের হস্টেলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে নাচতে বাধ্য করা। পাশাপাশি তার উপর চূড়ান্ত যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রি-ইউনিভার্সিটি কোর্সের (দ্বাদশ শ্রেণি) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা ওই নাবালকের উপর নির্যাতন চালায়। খবর মারফত, এই যৌন নিগ্রহ এবং র্যাগিংয়ের বিষয়ে হস্টেলের ওয়ার্ডেন এবং স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে আগেই অভিযোগ জানানো হয়েছিল। নির্যাতিত ছাত্রের বাবা-মায়ের অভিযোগ, র্যাগিংয়ের বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর থেকেই সিনিয়র ছাত্ররা তাঁদের ছেলেকে নিশানা করে। তাঁরা আরও জানান, স্কুলের অধ্যক্ষ এবং হস্টেল ওয়ার্ডেন ঘটনা কেন্দ্রিক কোনও পদক্ষেপ না করায় তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন।
নির্যাতিত ছাত্রের বাবা-মায়ের সংযোজন, হস্টেলের ঘরে ৩ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ টানা চার দিন ধরে তাঁদের ছেলের উপর অত্যাচার চালানো হয়।