• সুগন্ধি নিয়ে স্কুলে আসার 'অপরাধ'-এ চার বছরের স্কুল পড়ুয়াকে বেধড়ক মার প্রধান শিক্ষকের, হাসপাতালে ভর্তি পড়ুয়া ...
    আজকাল | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুলে সুগন্ধি নিয়ে গিয়েছিল চার বছরের এক শিশু পড়ুয়া। পরিণতিতে প্রধান শিক্ষকের নির্মম অত্যচার সহ্য করতে হল তাকে। অভিযোগ, ওই শিশুকে  মারধর করা হয়েছে। যার জেরে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।

    শিশুটির সারা শরীরে মারের দাগ। মুখে কালশিটে পড়ে গিয়েছে। পরে ওই শিশুকে  চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় ডোমজুড় হাসপাতালে। অভিযোগ, সকালে মারধর করার পর শিশুটি অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে দুপুর ১২টা  পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়।

    এই ঘটনার পর বাঁকড়া ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছে শিশুটির পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাঁকড়া মনসাডিঙি মল্লিক পাড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    সন্তানকে নৃশংসভাবে মারধর করায় ক্ষুব্ধ শিশুটির মা রুপা খাতুন। তিনি বলেন, 'ছেলে সুগন্ধির কৌটো নিয়ে গিয়েছিল। ওকে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কথা শুনতে চায়নি। ও বের করবে বলেছিল। তখন শিক্ষক মারে।  

    পরে স্যারেরা জানিয়েছেন,  ছেলেকে মেরেছেন তাঁরা। পরে বাড়িতে এসে দেখি মুখে কালসিটে পড়ে গিয়েছে। সারা শরীরে মারের দাগ।' শিশুটির বাবা আইয়ুব আলি সরদার বলেন, 'বাচ্চাটা একটা সুগন্ধির শিশি নিয়ে গিয়েছিল স্কুলে। সেটা বের করতে বারণ করা হয়। কিন্তু সে বের করে। এরপর মারধর করে বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। বাড়িতে এসে দেখি মুখে, গায়ে কালশিটের দাগ। অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাচ্চাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে নিয়ে আসা হয়। তার মুখের বাঁদিকে আঘাতের দাগ রয়েছে। তার গাল লাল হয়ে রয়েছে। এমন কি বাঁদিকের চোখের কাছে কালশিটে পড়ে গিয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শিশুটি। এখনও তার চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। 

    উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৪ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে বিনা কারণে মারধরের অভিযোগ ওঠে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর থানার  রামকমল বিদ্যাপীঠের এক শিক্ষকের মারধরের ফলে এক স্কুলপড়ুয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার হাত, পা, কনুই ও শরীরের একাধিক অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তাকেও স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। 

    এছাড়াও গত ১৭ জুলাই বীরভূম জেলার রামপুরহাটে ছাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলার পর তাদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল স্কুলেরই এক শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে স্কুলের প্রায় ১২ জন ছাত্রী। অসুস্থ সেই ছাত্রীদের ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে।
  • Link to this news (আজকাল)