• সন্ত্রাস-জমি দখলের বিরুদ্ধে দলের কর্মীদেরই বার্তা মন্ত্রীর
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • রাজনীতির নাম করে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করায় নিজের দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি। এলাকায় জমি দখল নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর হুঁশিয়ারি, যে রোগীর যা চিকিৎসা দরকার তাঁকে সেই চিকিৎসাই দেওয়া হবে। যদিও এ বিষয়ে পাল্টা মন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা।

    মন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রামে অশান্তি চলছে। রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, মারামারি, জমি দখল করতে দেওয়া যাবে না। মানুষের স্বাধীনতা এবং দলের প্রতি আস্থা ফেরানোর চেষ্টা চলছে। নিজের দলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে আঙুল তুলে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। তবে কারও ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে একটা ওষুধেই কাজ হবে। কিন্তু টাইফয়েড হলে আলাদা ডোজ দিতে হবে। এলাকার নেতানেত্রীরা নিজেরাই বুঝতে পারছেন তাঁদের ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছে নাকি তাঁরা টাইফয়েডের রোগী। জমি দখলের যে অভিযোগ উঠেছে তা একশো শতাংশ সত্যি বলে দাবি করেন তিনি। দালালি, মারামারি, বাইক-বাহিনীর তাণ্ডব বন্ধ করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এই সব কাজ যাঁরা করে তাঁদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে মানুষ পথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    মন্ত্রীর এই অভিযোগের পর পাল্টা সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী মুরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাফিয়া খাতুন। তিনি জানিয়েছেন, গ্রামেই বস্ত্রদান উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন মন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে তৃণমূলের সাধারণ কর্মী, গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের ডাকা হয়নি। অথচ যাঁরা গত বিধানসভা নির্বাচন কিংবা পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন, তাঁদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। গ্রামের সমাজবিরোধীরা এখন মন্ত্রীর কাছের মানুষ। বেশ কয়েকদিন ধরে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তৃণমূলের একদল কর্মী সমর্থক। মন্ত্রীর গোষ্ঠী ও অন্য এক গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এদিন পাল্টা নিজের বিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মন্ত্রী।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)