অর্ণবাংশু নিয়োগী: চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ল। আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে, জানালেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর আগে, গত জুন মাসে তিন মাসের জন্য় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
ঘটনাটি ঠিক কী? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিক্ষকরাই যে শুধু চাকরি হারিয়েছেন, তা কিন্তু নয়। রেহাই পাননি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত নন, , সেইসব শিক্ষকদের যখন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তখন গ্রুপ ডি ও গ্রুপ ডি পদে চাকরিহারাদের সম্পর্কে কিছু বলেনি শীর্ষ আদালত। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র পদে চাকরিহারাদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে।
এর আগে, এই মামলায় শুনানিতে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান, 'এই স্কিমের সুবিধাভোগী কেন মামলা করতে আসবেন? ২০ হাজার এবং ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলছেন, সেটা কি ভাবে ঠিক করা হল? এই স্কিমের মাধ্যমে কত মানুষ সুবিধা পাবেন? আগে এই ভাবে আর্থিক সুবিধা কবে দেওয়া হয়েছিল? যাদের টাকা দেবেন তার বদলে তারা কি দেবেন? নাকি টাকা নিয়ে ঘরে বসে থাকবেন'? হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, 'তার মানে আপনারা টাকা দিয়ে যাবেন। যতক্ষণ না সুপ্রিম কোর্ট নিষ্পত্তি না করছে। রিভিউ মামলা তো হতেই থাকবে। ততদিন এই ভাবে টাকা দিয়ে যাবেন। মানুষের টাকা দিয়ে যাবেন তাঁদের, যারা ঘরে বসে থাকবেন'!
রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোরকে দত্তকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, আপনি কাদের টাকা দিচ্ছেন যাঁদেরকে সুপ্রিম কোর্ট চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে? তাঁরা ঘরে বসেই টাকা পাবেন! যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য এমন কোনও স্কিম নেই?