অর্ণব দাস, বারাকপুর: ডিভোর্সের পর স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা ছিল। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ান খোদ শ্বশুর! সেই থেকে আক্রোশ। আর তার জেরেই ঘুমন্ত শ্বশুরের পেটে ছুরি মেরে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল জামাই। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ছুরিটিও। নিউ বারাকপুরের এই ঘটনায় শুক্রবার ধৃতকে বারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে ১০দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা বুঝতে ধৃতকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম রঞ্জিত রায়, বয়স ৫৫ বছর। রঞ্জিতবাবুর বড় মেয়ের সঙ্গে মসলন্দপুরের বাসিন্দা দীপঙ্করের বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই শ্বশুরের উপর আক্রোশ তৈরি হয় দীপঙ্করের। বারবার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছিল সে। তার জন্য ঘনঘন নিউ বারাকপুরের লেনিননগরের শ্বশুরবাড়িও যেত। অভিযোগ, বছর তিনেক আগে একইভাবে দীপঙ্কর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে অশান্তি করে। তখন তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার পর থেকে দীপঙ্কর ওত পেতেছিল। শ্বশুরকে বাগে পেয়ে খুনের পরিকল্পনাও করে।
তদন্তকারীদের অনুমান, এরপর বুধবার, বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে সুযোগ পেয়েই খুনের ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে দীপঙ্কর। বারান্দায় পাতা খাটে একা ঘুমোচ্ছিলেন রঞ্জিতবাবু। ঘুমন্ত অবস্থাতেই অতর্কিত হামলা চালায় জামাই। তাঁর পেটে ছুরির কোপ মেরেই চম্পট দেয় অভিযুক্ত। হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে পেয়ে দীপঙ্করেরকে জালে আনতে নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ তিনটি টিমে বিভক্ত হয়ে খোঁজ শুরু করে। অবশেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মসলন্দপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অকুস্থল থেকেই খুনে ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুনের পরিকল্পনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।