অর্ণব আইচ: অপেক্ষার মাত্র ৯ দিন। তারপরই শুরু বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। মহালয়ার পর থেকেই রাত জাগবে শহর থেকে শহরতলি। জনতার ঢল নামবে রাস্তায়। সেই ভিড় সামলাতে প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। জেলায় মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫ হাজার পুলিশ। শুধু পুজোর সময় নয়, অতিরিক্ত নজর দেওয়া হবে জেলায় জেলায় কার্নিভালগুলিতেও। সব মিলিয়ে দর্শনার্থীদের সুরক্ষা ও ট্রাফিক সচল রাখতে পুলিশ যে প্রস্তুত সেকথা জানিয়ে দিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম।
তিনি জানাচ্ছেন, মহালয়া থেকে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মোতায়েন করা হবে পুলিশ। বিভিন্ন ঘাটে সুরক্ষা নিশ্চিত করা থেকে পুজোর সময় জনতার ঢলকে নিরাপত্তা দিতেও পুলিশ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তা শামিম। তাঁর কথায়, “যে জেলায় যেমন পুজো হয়, সেই মোতাবেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলাজুড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার পুলিশকর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। হেড কোয়ার্টার ও অন্যান্য সব ফোর্সকে তৈরি রাখা হচ্ছে। তাছাড়াও অতিরিক্ত হোমগার্ড, এনসিসি, স্থানীয় যুবকদের কাজে লাগানো হবে। ট্রাফিক সচল রাখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহালয়া থেকে পুজোর চারদিন কাটিয়ে লক্ষ্মীপুজো পুজোর মরশুম দীর্ঘ। সুরক্ষা দিতে আমরা তৈরি।” তিনি আরও বলেন, “বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। দর্শনার্থীদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। একটা ভালো পুজো উপহার দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত।”
কলকাতা ও আশপাশে পুজোর সঙ্গে পুলিশকর্তার মুখে শোনা গিয়েছে রানাঘাটের পুজোর কথাও। রানাঘাট পুলিশ জেলায় কল্যাণী আইটিআই মোড়ের পুজোয় ব্যাপক ভিড় হয়। এছাড়াও এবার সবচেয়ে বড় দুর্গা করে চমক দিতে চলেছে রানাঘাটের অভিযান সংঘ। সেই ভিড়ও সামলাতে পুলিশ প্রস্তুত সেকথা জানিয়ে জাভেদ বলছেন, “রানাঘাটও অনেক ভিড় টানে। সব জায়গায় ভালো পুজো হচ্ছে। আগে থেকে হোমওয়ার্ক করা থাকলে সেই ভিড় সামলাতে অসুবিধা হবে না।”
পুজোর দিনগুলি কেটে যাওয়ার পরই রয়েছে কার্নিভাল। কলকাতার পাশাপাশি জেলাজুড়ে হয় কার্নিভাল। সেই দিনগুলিতেও সাধারণ মানুষ ভিড় জমান রাস্তায়। তাই কার্নিভালকেও অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ। অপ্রীতিকর অবস্থা ঠেকাতে মোতায়েন থাকবে প্রচুর পুলিশ।