• ‘আমার মুখে দিতেই হবে নইলে উঠব না’, ফুচকাওয়ালার কাণ্ডে রেগে ক্ষিপ্ত হয়ে মাঝরাস্তায় ধর্না মহিলার, তারপর যা হল…
    আজকাল | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের নানা শহরে রাজনৈতিক মিছিল, ধর্মীয় শোভাযাত্রা বা বর্ষার জমার কারণে ট্রাফিক ব্যাহত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু চলতি সপ্তাহে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটল গুজরাটের ভদোদরায়। সেখানে যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শুধুমাত্র দুটি ফুচকা। জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে সুরসাগর লেক এলাকার কাছে। অভিযোগ, এক মহিলা রাস্তার ধারে ফুচকা কিনতে গিয়ে প্রতারিত হন। তাঁর দাবি, ২০ টাকার বিনিময়ে ছ’টি ফুচকা পাওয়ার কথা থাকলেও বিক্রেতা তাঁকে মাত্র চারটি ফুচকা পরিবেশন করে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মহিলা সরাসরি রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

    দাবি ওঠে, ‘দুটি ফুচকা না দেওয়া পর্যন্ত উঠব না।’ এই অদ্ভুত বিক্ষোভের ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মোটরবাইক, গাড়ির চালকরা কষ্টেসৃষ্টে পাশ কাটিয়ে যান, আর চারপাশে ভিড় জমে যায় দৃশ্য দেখার জন্য। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও নাটকীয় রূপ নেয়। কেঁদে ফেলেন ওই মহিলা এবং জোর দিয়ে বলেন, ‘ন্যায্য দাম দিয়ে ফুচকা কিনেছি, ছ’টা না পেলে কিছুতেই উঠব না।’ ফলস্বরূপ কয়েক ঘণ্টা ধরে ভদোদরার গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তায় যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়ে। শেষমেশ পুলিশ ওই মহিলাকে সরিয়ে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে তাঁর চাওয়া দু’টি অতিরিক্ত ফুচকা শেষ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছিল কিনা, তা স্পষ্ট জানা যায়নি।

    আসলে, রাস্তার ধারে ফুচকার টক জল দেখলে জিভে জল আসে না এমন মানুষ কমই আছে ৷ এবার সেই ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন প্রায় ৩৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ফুচকায় বিষক্রিয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থদের প্রত্যেকের বাড়ি চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মাধবপুরের বেলগেড়িয়ায়। এক ব্যক্তি ওই এলাকায় ফুচকা বিক্রি করতে আসেন। সেই দোকানেই সবাই ফুচকা খেয়েছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টা পর প্রত্যেকের পেটে ব্যথা, পায়খানা–বমি শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনই ফুচকা খাওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসে। তড়িঘড়ি আহতদের ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ৩৫ জনের মধ্যে ১৩ জনের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। বাকিরা গ্রামে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়দের ধারণা ফুচকার জলে বিষক্রিয়া হওয়ার থেকেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেড়েছে উদ্বেগ। স্থানীয়দের দাবি, শুধু ওই গ্রাম নয়, পাশের একটি গ্রামের অবস্থাও কার্যত একই। অসুস্থ অনেক বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভর্তি হাসপাতালে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‌প্রাথমিক অনুমান খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। আপাতত ১৩ জন ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তবে সকলেই স্থিতিশীল। নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’‌ 
  • Link to this news (আজকাল)