ভোট চুরি দেখেও চুপ ছিল নির্বাচন কমিশন, ফের তোপ রাহুলের
বর্তমান | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নির্বাচন কমিশন এমন একজন চৌকিদার, যিনি ভোট চুরি হতে দেখেও হাত গুটিয়ে বসেছিলেন। ফের ভোট চুরি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর। বৃহস্পতিবারই ভোটার তালিকা থেকে বেআইনিভাবে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কমিশনকে নিশানা করেছিলেন রাহুল। যদিও কমিশন তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দেয়। পাল্টা শুক্রবার রায়বেরিলির সাংসদ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘ভোর চারটের সময় উঠে মাত্র ৩৬ সেকেন্ডে তালিকা থেকে দুটি নাম ছাঁটছেন। তারপর আবার ঘুমাতে চলে যাচ্ছেন। এভাবেই ভোট চুরি চলছে।’ রাহুলের খোঁচা, ‘নির্বাচনের পাহারাদার জেগে ছিলেন, চুরি দেখছিলেন। আর চোরদের বাঁচাচ্ছিলেন।’ তাঁর এই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সাংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেছেন, ‘বারবার ভোটে পরাজয়ে নিজেদের দোষ ঢাকতেই কমিশনকে নিশানা করছেন রাহুল।’ এরইমধ্যে ‘ভোট চুরি’ ইস্যুতে এবার ‘গণ স্বাক্ষর অভিযানে’ নামছে কংগ্রেস। নিজেদের দাবির সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশজুড়ে ৫ কোটি সই সংগ্রহ করার টার্গেট নিয়েছে দল। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী শুক্রবার এর সূচনা করলেন। এক ভিডিও বার্তায় তাঁর আর্জি, ‘দেশে প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে একটি সইও অতি গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের আওয়াজই সংবিধান রক্ষা করবে। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখবে। যে মূল্যবোধ রক্ষায় আমরা সরব হয়েছি, আপনারাও যোগ দিন।’
সংসদ ভবন থেকে কমিশনের সদর দপ্তর অভিযানে ভোট চুরির অভিযোগে একাট্টা হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধীরা। বিহারে তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে রাহুল করেছেন ভোটাধিকার যাত্রা। সেখানেও বিজেপি বিরোধীদের ছিল উপস্থিতি। একইভাবে সই সংগ্রহ অভিযানেও বিজেপি বিরোধী দলগুলির সমর্থন চাইছে কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে খবর, এই মওকায় নিজেদের সংগঠনকেও চাঙ্গা করতে চাইছে কংগ্রেস। আর এভাবে বিজেপি ও কমিশনের ওপর চাপও বাড়াবে কংগ্রেস। গণ স্বাক্ষর সম্মিলিত চিঠি জমা দেওয়া হবে কমিশনে।
অন্যদিকে, রাহুলের তোপের মুখে পড়ে শুক্রবারও সাফাই দিয়েছে কমিশন। বলেছে, অনলাইনে কোনও সাধারণ নাগরিক কারও ভোট বাতিল করতে পারেন না। ২০২৩ সালে কর্ণাটকের আলন্দে ৬ হাজার ১৮ টি নাম অনলাইনে বাতিলের আবেদন করা হয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র ২৪ টি আবেদন ছিল সঠিক। ফলে এত বিপুল পরিমাণ আবেদন দেখে কমিশনই আলন্দ থানায় এফআইআর দায়ের করেছিল। একইভাবে ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরের রাজুরা কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও এফআইআর করা হয়েছে। ফলে রাহুল কমিশনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই।