নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করে খুন হয়েছিলেন দুবরাজপুরের এক গৃহবধূ। স্ত্রীকে খুনের দায়ে তাঁর স্বামী শেখ নইমুদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক। বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর এডিজে ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক বিনয় নুনিয়া তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শুক্রবার সাজা ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্রপ্রসাদ দে বলেন, মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে নইমুদ্দিনকে। এদিন তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান।
জানা গিয়েছে, সদাইপুর থানা এলাকার বাসিন্দা রকিনা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দুবরাজপুরের পদুমা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শেখ নৈমুদ্দিনের। বিয়ের পরই স্বামীর আচরণে সন্দেহ হয় তার স্ত্রীর। স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হয়। স্ত্রী প্রতিবাদ করায় তাঁর উপরঅত্যাচার শুরু করে নইমুদ্দিন। সেই অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় নইমুদ্দিন। সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রুকিনা বিবির। তবে, মৃত্যুর আগে তিনি পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। পুলিশ তদন্ত করে একজন মহিলা সহ মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।
কয়েক বছরের আইনি লড়াইয়ের পর ন্যায় পেল মৃত গৃহবধূর পরিবার। আদালতের রায়ে তাঁরা খুশি হলেও মেয়েকে হারানোর শোকও আজও ভুলতে পারেননি তাঁরা।