স্ত্রী উধাও, বেপাত্তা বাড়িতে আসা সাধুও, উদ্বিগ্ন স্বামী
বর্তমান | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, ঘাটাল: বাড়িতে নিয়মিত এক সাধুর আনাগোনা ছিল। সেই সাধুর সঙ্গে সে বাড়ির বউ ভারতী প্রামানিকের বেশ ভালো সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল। একদিন হঠাৎ ভারতী উধাও। বেপাত্তা সেই সাধুও। দাসপুর থানার কিসমৎ রাধাকান্তপুরের এই ঘটনায় চারিদিকে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। ভারতীর স্বামী কমল প্রামানিক মুম্বইয়ে রান্নার কাজ করেন। খবর শুনে তিনি চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। জানিয়েছেন, শুক্রবার গ্রামে ফিরে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানাবেন। দাসপুর থানা সৃত্রে জানা গিয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে তারা তদন্ত শুরু করবে। কমলবাবু বলেন, তাঁর স্ত্রী এরকম ছিলেন না। ওই সাধুর পাল্লায় পড়েই বাড়ি ছেড়ে পালাল কি না, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।
মঙ্গলবার রাধাকান্তপুরের বাসিন্দা কমল ও ভারতীর এক ছেলে এবং এক মেয়ে। ছেলেটি ২০২৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে মারা যায়। মেয়ে এখন বিয়ের যুগ্যি হয়ে উঠেছে। ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকেই ভারতী মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন। বাড়িতে কমলবাবুর বৃদ্ধ বাবা বাঁশরীমোহন প্রামানিকও থাকেন। তিনি অবশ্য কোনও সাতেপাঁচে থাকেন না। প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’ বেলা ঠিকঠাক সময়ে খাবার পেলেই তিনি সন্তুষ্ট। কমল ও ভারতীর মধ্যে সম্পর্কও বেশ ভালোই ছিল বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া ভালোই ছিল। ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকে ভারতী দিনের বেশিরভাগ সময় পুজোআচ্চা নিয়েই থাকতেন।
কমলবাবুর থেকে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুই আগে তাঁদের বাড়িতে এক সাধু আসেন। ভারতী তাঁকে বেশ সেবাযত্নও করেছিলেন। সেই সাধুর সঙ্গে স্ত্রীর একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় বলে স্ত্রীর কাছ থেকেই ফোনের মাধ্যমে জেনেছিলেন তিনি। কমল বলেন, তবে বিষয়টিকে আমি খুব একটা খারাপ ভাবে নিইনি। সাধুর সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই আমার এই পরিণতি হল কি না, তা বুঝে উঠতে পারছি না।
কমলবাবুর বাবা বলেন, গত মঙ্গলবার দেখি দুপুরের ভাত খাওয়ার জন্য আমাকে কেউ ডাকেনি। বাড়িতে বউমার সাড়াশব্দ নেই। সন্ধে পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় আমি বিষয়টি সবাইকে বলি। পরের দিন বাবার মুখ থেকেই কমলবাবু স্ত্রীর বেপাত্তা হওয়ার খবর পান। কমলবাবু বলেন, আমি স্ত্রীকে খুব ভালোবাসি। ওকে ছাড়া থাকতে পারব না। আত্মীস্বজনদের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েছি কোথাও সন্ধান পাচ্ছি না। সেই সাধুটারও কোনও হদিশ পাচ্ছি না।