• নিকাশি সমস্যার জেরে জলের তলায় বাড়িঘর, বহু কৃষিজমি
    বর্তমান | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, করিমপুর: সুষ্ঠু জলনিকাশি ব্যবস্থা নেই। ফলে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যায় করিমপুর-২ ব্লকে নতিডাঙা ও গমাখালি গ্রামের বেশ কিছু এলাকা। তারজন্য প্রায় ১৫০পরিবার চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে। প্রায় ৫০০বিঘা কৃষিজমি জলে ডুবে গিয়েছে। বেড়ে সাপের উৎপাত।

    করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায় বলেন, গত বছরও একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তখন গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এবারও এলাকা ঘুরে বাসিন্দাদের জানিয়েছি, বিধায়ক তহবিল থেকে সাড়ে ১০লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ওই টাকায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ করার জন্য প্রশাসনকে বলেছি।

    এলাকার বাসিন্দা আমিনা বিবি বলেন, বৃষ্টির ফলে এলাকার বহু বাড়িতেই হাঁটুসমান জল জমে গিয়েছে। বাড়িতে পোষা ছাগল, গোরু, হাঁসমুরগি নিয়ে খুব কষ্টে রয়েছি। ঘরে যে চৌকির উপরে ছাগল থাকছে, সেটির উপরই রান্না করতে হচ্ছে। পাড়ার রাস্তাও জলে ডুবে থাকায় একরকম ঘরবন্দি হয়ে রয়েছি।

    এলাকার অপর বাসিন্দা তাসলিমা খাতুন জানালেন, বাচ্চা ও বয়স্কদের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। শুধুমাত্র নিকাশি ব্যবস্থার অভাবে বেশ কয়েকবছর ধরে বৃষ্টির জলে গ্রামের বাড়িঘর ও চাষের জমি ডুবে যাচ্ছে। এতে সাপের উৎপাত বাড়ছে। ভয়ে রাতে কেউ ঘুমতে পারছি না।

    স্থানীয় বাসিন্দা সুফিয়ান শেখ বলেন, ১০বছর আগে গ্রামের জল নালা দিয়ে সরাসরি মালিয়ানতলা বিলে চলে যেত। কিন্তু সেই নিচু জমিতে এখন নতুন নতুন বাড়ি হয়েছে। এছাড়া, কয়েকটি কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ায় বৃষ্টির জল বেরতে পারে না। ফলে প্রতিবছর বর্ষার সময় আমাদের ভুগতে হয়।

    গমাখালির চাষি ইসমাইল মণ্ডল বলেন, আগে বছরে তিনবার ফসল হতো। কিন্তু বছরদশেক ধরে আমার চার বিঘা সহ মাঠের প্রায় ৫০০বিঘা জমি বছরের অর্ধেক সময় জলে ডুবে থাকে। কোনওমতে এই মাঠে পাটচাষ হয়। তাও এবছর জলে ডুবে থাকায় ভালো ফলন হয়নি। অনেকে পাট কেটে ধান লাগিয়েছিল। সেই জমিতে এখন কোমরসমান জল। কালভার্ট খুলে জল বের করার ব্যবস্থা করা দরকার।

    এবিষয়ে নতিডাঙা-১ পঞ্চায়েত প্রধান আখতারুল মণ্ডল বলেন, ওই এলাকার জমা জল বের করতে বড় নিকাশিনালা করতে হবে। অত টাকা পঞ্চায়েতের নেই। বিধায়কের দেওয়া টাকা এলেই নালা খনন হবে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)