স্কুলে কিচেন গার্ডেন তৈরি করবে এনজিও, পদক্ষেপের নির্দেশ মিড ডে মিল বিভাগের
বর্তমান | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: মিড ডে মিলের কিচেন গার্ডেন তৈরিতে এবার স্কুলগুলিকে সহায়তা করবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দপ্তর। শুধু তাই নয়, দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনও সাড়া না মিললে স্কুলগুলি সরাসরি কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা ট্রাস্টের সঙ্গে কথা বলে তাদের সাহায্য নিতে পারে। প্রতিটি স্কুল এই বাগান তৈরির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা করে পাবে। মিড ডে মিলের প্রজেক্ট ডিরেক্টরের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য মিড ডে মিল ডিরেক্টরেটের এক কর্তা বলেন, ‘পরিদর্শন করে দেখা গিয়েছে, স্কুলে স্কুলে কিচেন গার্ডেনগুলির খুবই দৈন্যদশা। স্কুল প্রতি পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও মোট বাজেট প্রায় সাত-আট কোটি টাকা। তবে, সেই টাকা কোথায় চলে যাচ্ছে, তার হদিশও মিলছে না। সেই কারণে এই ব্যবস্থা। দেখা গিয়েছে, কলকাতার বেশ কিছু স্কুল এনজিওর সহায়তায় ছোট জায়গায় বা ছাদে দারুণ বাগান করেছে। এই বাগানগুলি পড়ুয়াদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এগুলিকে প্রকল্পের পরিভাষায় স্পেশাল নিউট্রিশন গার্ডেন বা এসএনজি বলা হয়। কারণ, এখান থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্বৃত্ত পুষ্টির জোগান আসতে পারে। অনেক স্কুলই মিড ডে মিলের বিভিন্ন শাক-সবজি এই বাগান থেকে সংগ্রহ করে ফেলে। আর স্কুলে ফলানো এসব সবজি ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য তা বিশেষ উপযোগী।’ এনজিও বা ট্রাস্টের সঙ্গে আগে একটি চুক্তি সম্পাদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলকে। ব্লক বা মিউনিসিপ্যালিটি পর্যায়েও এই চুক্তি করা সম্ভব। তবে, কালো তালিকাভুক্ত কোনও এনজিওর সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি করা যাবে না। শহরের মধ্যে বেথুন স্কুল বা গরফার একটি মেয়েদের স্কুল কিচেন গার্ডেনে বিশেষ সাফল্য পেয়েছে। ভালো কাজের জন্য কলকাতার মিড ডে মিল কর্তৃপক্ষের তরফে তিনটি এনজিও শংসাপত্রও পেয়েছে বলে খবর। সেই কারণে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের অন্যত্রও এই ধরনের বাগান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে ঢালাও বেসরকারি সংগঠন বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিরুদ্ধ মতও রয়েছে। অনেকের মতে, এতে পুরোপুরি নির্ভরশীল থাকতে হবে ওই সংগঠন বা সংস্থাগুলির উপরে। টাকা নিয়ে যদি ঠিকমতো কাজ তারা না করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় থাকবে না। যদিও আধিকারিকদের বক্তব্য, কাজ হলেই টাকা দিতে হবে। এই পদ্ধতিতে অনুদান হিসেবে ছাড়া অর্থের একটি হিসেবও থাকবে। তাছাড়া, প্রথমে সরকারি দপ্তরের দ্বারস্থ হতে হবে। তাদের তরফে সাড়া না মিললে তবেই এনজিও বা ট্রাস্টের কাছে যাওয়া যেতে পারে।