• সমীক্ষার নামে তথ্য পাচারের অভিযোগ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সতর্ক করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করার নাম করে মহিলাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকাবাসীদের হাতে ধরা পড়লেন একদল মহিলা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকে। ওই মহিলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা আধার কার্ড, ভোটার কার্ড যাচাই করে সাধারণ মানুষের ফোন নম্বর ও ছবি তুলে মোবাইলের মাধ্যমে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কেও সাধারণ মানুষকে একাধিক প্রশ্ন করছিলেন তাঁরা।

    এদিন ওই মহিলাদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা জানান, তাঁদের অফিস যাদবপুর এলাকায়। সরকারি অনুদান নিয়ে সমীক্ষা করার জন্য তাঁদের পাঠানো হয়েছে। এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে এলে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার বা অন্তত জেলাশাসকের অনুমতি প্রয়োজন। তবে ওই মহিলারা কোনও সরকারি নথি বা অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি। তাঁদের যাদবপুরের অফিসে ফোন করা হলেও কেউ ফোন তোলেননি। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যায়।

    জানা গিয়েছে, সুজানা সানা নামের এক মহিলা বাসন্তীর কাঁঠালবেরিয়া শিমুলতলা মোড়ে মহিলাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ধরা পড়েন। তিনি সংগৃহীত তথ্যগুলি ট্যাবের মাধ্যমে কোনও একটি পোর্টালে আপলোড করছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছেও কোনও অনুমতিপত্র ছিল না। সেই কারণে স্থানীয়রা তাঁকে পুলিশ হাতে তুলে দেন।

    উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে এ বিষয়ে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ভোটার তালিকা যাচাইয়ের নাম করে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসআইআর নিয়েও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছিলেন তিনি। সমীক্ষার নামে কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি এলে তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, গোটা ভারতে বিজেপির ৫০০টা দল তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। কার নাম বাদ দেওয়া যায় তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করছেন সেই সব দলের সদস্যরা। তাই কাউকে তথ্য না দেওয়ার বিষয়ে বার বার সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে কি না তা সকল রাজ্যবাসীকে দেখে নিতে বলেছিলেন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)