রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বিশ্বকর্মা পুজো থেকেই বঙ্গে শারদৎসবের সূচনা হয়ে যায়। সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রয়েছে বাংলায়। বিগত কয়েক বছর ধরে মহালয়ার আগের দিন দুর্গাপুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই শুভ সূচনা হয়ে থাকে মূলত শ্রীভূমি থেকেই। চলতি বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। আজ, শনিবার থেকে শহরের নামী পুজোগুলির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। টানা চারদিন ধরে নানা মণ্ডপের ফিতে কেটে, প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজোর সূচনা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার বিকেলে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্বোধন দিয়ে শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রীর এ বছরের পুজো কর্মসূচি। এটিই হতে চলেছে এই মরসুমের প্রথম পুজো-অনুষ্ঠান। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মহালয়ার দিন দুপুরে তিনি নজরুল মঞ্চে যোগ দেবেন ‘জয় বাংলা’র আসরে। সেখান থেকে একের পর এক পুজোর উদ্বোধন করবেন মমতা। তাঁর পুজো উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে অসংখ্য জেলার পুজোও।
প্রশ্ন হল, নির্ধারিত চার দিনে কোন কোন পুজোর উদ্বোধন করবেন মমতা? শনিবারের তালিকায় রয়েছে কেবল রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বোসের পুজো হিসাবে খ্যাত শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গোৎসব। রবিবারের তালিকায় রয়েছে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, ৯৫ পল্লি, যোধপুর পার্ক, বাবুবাগান এবং চেতলা অগ্রণী। এরপরের দিন অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর মমতা যাবেন আলিপুর সর্বজনীন, চেতলা কোলাহল গোষ্ঠী, বেহালা নতুন দল, বড়িশা ক্লাব, হরিদেবপুর ৪১ পল্লি, অজেয় সংহতি, বসুপুর তালবাগান, বসুপুর শীতলা মন্দির, গড়িয়াহাট হিন্দুস্থান ক্লাব ও কালীঘাট মিলন সঙ্ঘে।