আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রকাশ্য ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। হঠাৎই দেখলেন, রাস্তার মাঝখানে এসে দাঁড়াল একটি কালো রঙের থর গাড়ি। চালকের আসনে বসে থাকা লোকটির অঙ্গভঙ্গি দেখে শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বয়ে গেল। অভিযোগ, গাড়ির চালক ব্যালকনিতে দাঁড়ানো ওই বাসিন্দার দিকে তাকিয়েই হস্তমৈথুন করছিলেন।
শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালের কাছে, রাত প্রায় ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ। এক রেডিট ব্যবহারকারী ‘গুরুগ্রামে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা’ শিরোনামে একটি পোস্টে গোটা ঘটনাটি জানান। সঙ্গে জুড়ে দেন সেই বিকৃত কাজের একটি ভিডিও, যা প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ওই ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি ব্যালকনিতে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎই দেখি, কালো রঙের একটি থর গাড়ি রাস্তার ঠিক মাঝখানে এসে দাঁড়াল। প্রথমে ভেবেছিলাম, চালক হয়তো এমনিই বসে আছে। কিন্তু একটু পরেই তার নড়াচড়া দেখে সন্দেহ হয়। খেয়াল করে দেখি, লোকটি আমার দিকে তাকিয়েই হস্তমৈথুন করছে।”
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে ওই মহিলা ঘরের ভিতরে গিয়ে তাঁর রুমমেটকে সবটা জানান। এর পর তাঁরা গোটা ঘটনাটির ভিডিও রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও যোগ করেন, “রেকর্ডিংটি পরে চালিয়ে আমরা দেখি, লোকটি নির্লজ্জের মতো গাড়ির আসনে হেলান দিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে অঙ্গভঙ্গি করে চলেছে। প্রায় মিনিট দশেক ধরে এই ঘটনা চলে। শেষে আমাদের এক বন্ধু সাহসের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে সরাসরি তার ভিডিও করতে গেলে সে বিরক্ত হয়। সম্ভবত কুকর্মে বাধা পড়ায় তার রাগ হয়েছিল। ধরা পড়ার ভয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সে গাড়ি চালিয়ে পালায়।” পোস্টের সঙ্গে যুক্ত ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি গাড়ির ভিতরে বসে ওই অশালীন কাজটি করে চলেছেন।
পোস্টটির তলায় বহু মানুষই এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই বাসিন্দার এর পর কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, সেই বিষয়েও অনেকে পরামর্শ দেন। এক জন লেখেন, “এটা কী হল! আপনি কি গাড়ির নম্বর নিতে পেরেছেন? পারলে অবশ্যই পুলিশে অভিযোগ জানান।” উত্তরে ওই রেডিট ব্যবহারকারী জানান, “লোকটি এমন ভাবে গাড়িটি দাঁড় করিয়েছিল যে নম্বর প্লেট দেখা যাচ্ছিল না। আর সে এত দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালায় যে আমরা ভিডিও করার সুযোগই পাইনি।”
অন্য এক জন পরামর্শ দেন, “তা-ও আপনার পুলিশে অভিযোগ জানানো উচিত এবং এই ভিডিওটি জমা দেওয়া উচিত। যদি সে আবার ফিরে আসে এবং আপনি গাড়ির নম্বর পেয়ে যান, তা হলে অন্তত ওর অপরাধমূলক আচরণের একটি লিখিত প্রমাণ থাকবে। সাবধানে থাকবেন।”
অন্য একটি মন্তব্যে লেখা হয়, “নতুন গুরুগ্রামে এটা এখন নিত্যনৈমিত্তিক দৃশ্য। শুধু থর নয়, ট্যাক্সিচালক এবং অন্য গাড়ির চালকদেরও এই কাজ করতে দেখা যায়। গুরুগ্রামে এদের কেউ ধরার নেই।”
প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসেও গুরুগ্রামে ঠিক একই রকম একটি ন্যক্কারজনক ঘটনার শিকার হয়েছিলেন এক মহিলা। জয়পুর থেকে ফিরে রাজীব চকে তিনি ক্যাবের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় এক ব্যক্তি তাঁর দিকে তাকিয়ে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করার পর প্যান্টের চেন খুলে হস্তমৈথুন করতে শুরু করে। সেই মহিলাও ঘটনাটির ভিডিও তুলে রেখেছিলেন। পরে ভিডিওটি তিনি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করার পর শোরগোল পড়ে যায়।