• সন্ত্রাসবাদী হামলার চেষ্টা, জইশের চার জঙ্গিকে ঘিরে ফেলল ভারতীয় সেনা, গুলির লড়াই কাশ্মীরের উধমপুরে...
    আজকাল | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে ঢুকে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলার চেষ্টা করেছিল জইশ-ই-মহম্মদের চার জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় ফের সন্ত্রাসবাদী দমন অভিযানকে ঘিরে তীব্র গুলির লড়াই চলল। ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদের তিন থেকে চারজন জঙ্গিকে ওই এলাকায় ঘিরে ফেলা হয়েছে। সংঘর্ষে এক সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন। প্রথমে সেনার তরফে জানানো হয়েছিল যে কিশ্তওয়ারেও একটি আলাদা গুলির লড়াই চলছে। তবে পরে স্পষ্ট করা হয়, এই অভিযান শুধুমাত্র উধমপুর জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভারতীয় সেনার হোয়াইট নাইট কর্পসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, ‘দোদা-উধমপুর সীমান্তে সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজ মিলেছে। অভিযান চলছে।’ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দুদু বসন্তগড়ের পাহাড়ি এলাকায় সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে সেনা, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) এবং পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। সেখানেই শুরু হয় গুলির লড়াই।

    উল্লেখ্য, গত এক বছরে এই অঞ্চলেই একাধিক গুলির লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের ২৬ জুন দুদু-বসন্তগড়ের জঙ্গলে সংঘর্ষে খতম হয় জইশ কমান্ডার হায়দার, যিনি প্রায় চার বছর ধরে ওই এলাকায় সক্রিয় ছিলেন। এর আগে ২৫ এপ্রিল একই এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন এক সেনা জওয়ান। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স শাখা কাশ্মীর উপত্যকার সাতটি জেলায়। শ্রীনগর, বারামুলা, অনন্তনাগ, কুপওয়ারা, হ্যান্ডওয়ারা, পুলওয়ামা এবং শোপিয়ানে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। পুঞ্চ সেক্টরে ওই তল্লাশিতে মেলে বিপুল অস্ত্রভান্ডার। উদ্ধার হয়েছে ২০টি চিনা হাতবোমা-সহ একাধিক মারাত্মক অস্ত্র। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই অস্ত্রগুলি সম্প্রতি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল এবং সেগুলি মূল ভূখণ্ডে পৌঁছে দিয়ে নাশকতা ঘটানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা।

    তবে সময়মতো খবর পাওয়ায় বড়সড় সন্ত্রাসের ছক ভেস্তে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথি উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। উল্লেখ্য, ভারতের অপারেশন সিঁদুরে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের পরিবার। নয়াদিল্লির এই দাবি স্বীকার করল খোদ জইশ কমান্ডার। সে জানিয়েছে, বাহাওয়ালপুরে হামলায় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর শীর্ষ কমান্ডার মাসুদ আজহারের পরিবার ‘ছিন্নভিন্ন’ হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে, জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরিকে ব্যাখ্যা করতে শোনা যাচ্ছে যে, কীভাবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের (জঙ্গিদের) আস্তানায় প্রবেশ করে আক্রমণ চালিয়েছিল।

    ভাইরাল ক্লিপে কাশ্মীরি উর্দুতে মাসুদ ইলিয়াস বলেছেন, ‘আমরা এই দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য দিল্লি, কাবুল এবং কান্দাহারের সঙ্গে লড়াই করেছি। সবকিছু ত্যাগ করার পর, ৭ মে, বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় বাহিনী মৌলানা মাসুদ আজহারের পরিবারকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল।’ জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় বাসিন্দা নিহত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অভ্যন্তরে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযান চালিয়ে নয়'টি সন্ত্রাসবাদী শিবির ধ্বংস করে দেয়। সেই আক্রমণে রাতভর বিমান হামলা চলেছিল। এই অভিযানের সময় জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তৈইবা (এলইটি)-র ঘাঁটিও লক্ষ্য করা গিয়েছিল। পাকিস্তান পরে স্বীকার করেছে যে, এই হামলায় তাদের নয়'টি স্থানে আঘাত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাহাওয়ালপুর, কোটলি এবং মুরিদকে। এগুলি সবকটাই উগ্রপন্থী কার্যকলাপের পরিচিত কেন্দ্রস্থল।
  • Link to this news (আজকাল)