• খোঁড়াখুঁড়ির জেরে বেহাল রাস্তা, দেড় কোটি টাকায় মেরামতির সিদ্ধান্ত
    আনন্দবাজার | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পাইপলাইনের কাজ করতে গিয়ে পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির জের। আর সেই রাস্তা মেরামত করতে গিয়েই পুর প্রশাসনের খরচ হতে চলেছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।

    গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন থেকে সুভাষপল্লি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন পর্যন্ত নতুন পাইপলাইন বসানোরকাজ শেষ হলেও রাস্তার শোচনীয় দশার কারণে নাজেহাল হচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিদিন যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল, পথচারীরাও বিপদে পড়ছিলেন। পুরসভার নথিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জল সরবরাহ দফতরের খোঁড়াখুঁড়িতে রাস্তার অবস্থা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যানবাহন ও পথচারীর নিরাপদ চলাচলের স্বার্থে দ্রুত সংস্কার অপরিহার্য।

    এর পরেই রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হয় পুর প্রশাসন। পুরসভা সূত্রেরখবর, মেরামতির মোট খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকারও বেশি। এর মধ্যে শুধু হটমিক্স বাবদ খরচ হবে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা। গত ৫ মে এই প্রকল্পে আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়।২৫ জুন টেকনিক্যাল বিড খোলাহয়, ১১ জুলাই আর্থিক বিড। ১২ অগস্ট টেন্ডার কমিটি প্রস্তাবে সিলমোহর দেয়। দরপত্রে অংশ নিয়েছিল তিনটি সংস্থা। সবচেয়ে কম দর দেওয়া সংস্থার হাতেই কাজের বরাত যাচ্ছে।

    যদিও পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের একাংশের বক্তব্য, পানীয় জল পরিষেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হলে রাস্তা খুঁড়তেই হয়। এতে সাময়িক অসুবিধা তৈরি হলেও তা জনস্বার্থেই করা হয়। দফতরেরএক আধিকারিকের কথায়, “কাজ করতে গেলে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হবেই। তবে যেখানে খোঁড়া হয়, সেই তথ্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিই। যাতে দ্রুত সেই রাস্তা মেরামত করা যায়।”

    তবে অনেকেরই প্রশ্ন, কাগজে অনুমোদন মিললেও বাস্তবেঅনেক সময়েই রাস্তা সারাইয়েরকাজ শুরু হতে দেরি হয়। ফলে প্রতিদিন ধুলো-গর্ত সামলানো এলাকাবাসীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবেই রয়ে গিয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)