• বেসরকারি সংস্থাকে বাতিলের ভাবনা
    আনন্দবাজার | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পূর্ব মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালে ধর্ষণের অভিযোগে যে বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজার গ্রেফতার হয়েছে, সেই সংস্থাকে বাতিলের আবেদন জানানো হবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) বিভাস রায় বলেন, “শীঘ্রই স্বাস্থ্য ভবনে ওই সংস্থাকে কাজ থেকে বাতিলের আবেদন জানানো হবে। নতুন সংস্থা দায়িত্ব পেলে, কর্মী নিয়োগে নজর দিতে বলা হবে।” তবে তিনিই প্রশ্ন তুলেছেন, বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা স্টোররুমে স্মার্টফোন রেখে যে ভাবে ভিডিয়ো করেছেন, তা আদৌ করা যায় কি না! যদিও কর্মীদের বক্তব্য, প্রমাণ জোগাড়ে ওই রাস্তা নিতে হয়েছে।

    গত রবিবার ধর্ষণের অভিযোগে ওই ম্যানেজার গ্রেফতারের পরেই ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সংস্থাটিকে শো-কজ়ের চিঠি পাঠায়। সংস্থাটি সব খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমার কথা বললেও, এখনও দেয়নি। সে ক্ষেত্রে তাদের বাতিল করার আবেদন জানাতে পারে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, সিএমওএইচ বলেন, “হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ বা তার ভিডিয়ো করা— দু’টিই অসামাজিক কাজ। নার্সদের পোশাক বদলের ঘর বা রোগীদের শৌচাগারেও যদি গোপনে ভিডিয়ো করা হয়, তা আতঙ্কের।” সংস্থার কর্মীদের পাল্টা বক্তব্য, ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ জানিয়ে লাভ হয়নি। প্রমাণ জোগাড় করতে চাঁদা তুলে স্মার্টফোন কিনে স্টোররুমে রাখা হয়েছিল।

    শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পাঁচ প্রতিনিধি সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। সুপারের থেকেও তথ্য নেন। রাজ্য মহিলা কমিশনের তিন সদস্য সন্ধ্যায় এক নির্যাতিতা, হাসপাতাল সুপার ও এলাকার আইসির সঙ্গে কথা বলেন। কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্ত যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল, তা পরিষ্কার। ভবিষ্যতে মামলার বিচার যাতে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে হয় এবং আমরাও যাতে যুক্ত হতে পারি, সে চেষ্টা করা হবে।” সন্ধ্যায় হাসপাতালের সামনে আদিবাসীদের মিছিলে ধৃতের চরম শাস্তির দাবি ওঠে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)