তদন্ত-তল্লাশির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে একটি বিশেষ অ্যাপ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, নিচুতলার তদন্তকারী অফিসারেরা সেই নির্দেশ মানছেন না। ‘ই-সাক্ষ্য’ নামে ওই অ্যাপও ব্যবহার করছেন না। তা জেনেই নড়ে বসেছে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবন। তদন্তকারীরা ওই অ্যাপ ব্যবহার করছেন কি না, সে ব্যাপারে জেলা পুলিশ এবং কমিশনারেটগুলির কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কতগুলি তদন্ত এবং তল্লাশিতে ওই অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত, নতুন সাক্ষ্য আইনে ভিডিয়ো রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক। পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, ই-সাক্ষ্য অ্যাপে ভিডিয়ো, ছবি আপলোড করলে তা সরাসরি আদালতে জমা পড়ে এবং বিচারক প্রয়োজনে তা কোর্টে বসে দেখতে পাবেন। ভিডিয়ো বা ছবি বিকৃতির আশঙ্কাও এই অ্যাপে নেই বলে পুলিশের দাবি।
ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) অনুযায়ী তদন্ত, তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ডিং শুধু বাধ্যতামূলক-ই নয়, বরং ওই প্রক্রিয়া শেষের দু’দিনের মধ্যে তা কোর্টে পাঠাতে হয়। ভবানী ভবন জানায়, প্রথম দিকে তদন্তকারী অফিসারেরা মোবাইল ফোন বা ক্যামেরায় ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছিলেন এবং তা পেন ড্রাইভে পুরে কোর্টে জমা দিচ্ছিলেন। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া জটিল হচ্ছিল। তাই ই-সাক্ষ্য অ্যাপ চালু করা হয়েছিল। ওই অ্যাপের তথ্য রাজ্য সরকারের ডেটা সেন্টারে জমা থাকে। তাই তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই।
‘‘এত কিছুর পরেও নিচুতলার কর্মীরা এই অ্যাপ ব্যবহার করছেননা। উপরমহলের নির্দেশও মানছেন না।’’ বলছেন এক পুলিশকর্তা।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ মেলার পরেই এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। এ ক্ষেত্রে নির্দেশ পালনে অনীহা দেখানোয় পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করাহতে পারে বলেও ওই পুলিশকর্তার ইঙ্গিত।