এসএসসি-র শূন্য পদ বৃদ্ধির দাবিতে অভিযান নতুন প্রার্থীদের
আনন্দবাজার | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৫ সালের এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগে শূন্য পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এক লক্ষ করার দাবি জানালেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। গত ৭ এবং ১৪ তারিখ শিক্ষক নিয়োগের যে পরীক্ষা নিয়েছে এসএসসি, সেখানে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য অতিরিক্ত দশ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, এর ফলে নতুন পরীক্ষার্থীরা প্রথম থেকেই পিছিয়ে পড়বেন। নতুনদের নিয়োগের সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
সম্প্রতি এসএসসি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের যে পরীক্ষা নিয়েছে, তার জন্য মোট শূন্য পদ ছিল ৩৫৭২৬। এর মধ্যে নবম-দশমের শূন্য পদ ২৩২১২ এবং একাদশ-দ্বাদশের শূন্য পদ ১২৫১৪। নতুন পরীক্ষার্থীদের দাবি, এই দু’টি ক্ষেত্রে শূন্য পদ বাড়িয়ে অন্তত এক লক্ষ করতে হবে। না-হলে তাঁরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হবেন। আরও দাবি, অভিজ্ঞদের অতিরিক্ত দশ নম্বর ইন্টারভিউয়ের আগে দেওয়া যাবে না। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নিতে হবে সিসি ক্যামেরার অধীনে।
শুক্রবার সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিস পর্যন্ত মিছিল করে যান এসএসসি-র নতুন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৬ সালের পরে দীর্ঘ ন’বছর তাঁরা অপেক্ষা করেছেন এসএসসি-র পরবর্তী পরীক্ষার জন্য। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে পরীক্ষা হল, কিন্তু সেখানেও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। স্বাতী পাল নামে এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘‘এসএসসি-র তালিকায় থাকা যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের সুবিধার কথা ভেবে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হল। আমাদের কথা ভাবা হয়নি। গত ন’বছর ধরে নিয়োগ হয়নি। নিয়োগ হলে আমরাও শিক্ষকতা করে অভিজ্ঞ হতাম। অথচ, সেই অভিজ্ঞতার জন্য ওঁরা ১০ নম্বর বেশি পাচ্ছেন। অনেক কর্মরত শিক্ষক আছেন, যাঁরা নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ, দু’টি পরীক্ষাই দিয়েছেন। তাঁরা এই দুই পরীক্ষাতেই দশ নম্বর করে বেশি পাবেন। অতএব, দুই পরীক্ষাতেই নতুনেরা বঞ্চিত হচ্ছেন।’’
নতুন চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, গত ন’বছরে বহু শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। ফলে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রচুর শূন্য পদ তৈরি হয়েছে। তাই ৩৫৭২৬ থেকে শূন্য পদ বাড়িয়ে এক লক্ষ করার দাবি অন্যায্য নয়। এ দিন দুপুরে তাঁদের সাত প্রতিনিধি এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করে শূন্য পদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। স্বাতী বলেন, ‘‘এসএসসি-র চেয়ারম্যান সব দাবি শুনেছেন। কিন্তু ওঁর থেকে সমাধান পাইনি। এই আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আদালতে যাব।’’
অন্য দিকে, এসএসসি-র তালিকায় থাকা যোগ্য চাকরিহারাদের দাবি, সম্প্রতি চাকরির যে পরীক্ষা হল, তাতে নিয়োগের সুযোগ বেশি নতুনদেরই। কারণ, যোগ্য চাকরিহারারা লাগাতার আন্দোলন করেছেন। পড়ার সুযোগ তাঁরা বিশেষ পাননি। বরং নতুনেরা প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছেন। এ বার নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের প্রশ্নও সহজ হয়েছে। ফলে, নতুনেরাই এগিয়ে থাকবেন।
২০২৩ সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার্থীরাও এ দিন সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলনে নামেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০২৩ সালে টেট দিয়েছেন। অথচ, ফল বেরোয়নি। পর্ষদ বলেছিল, প্রতি বছর টেট হবে, নিয়োগ হবে। অবিলম্বে ২০২৩ সালের টেটের ফল প্রকাশ করতে হবে।