• ভারতের আসল শত্রু কে? জানালেন মোদী, বাতলে দিলেন ট্রাম্পের ট্যারিফ, ভিসা নীতির সঙ্গে ‘লড়ার’ কৌশলও
    এই সময় | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু কে? পাকিস্তান, চিন, নাকি অন্য কেউ? শনিবার গুজরাটের ভাবনগর থেকে খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে তুললেন ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর স্লোগান। জোর দিলেন স্বদেশি পণ্যে।

    এ দিন ভাবনগরে ৩৪,২০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদী। ‘সমুদ্র সে সমৃদ্ধি’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। পরে সমাবেশ থেকে ভাষণ দিতে গিয়ে দেশের শত্রু আর মিত্র চিহ্নিত করে দেন মোদী। তিনি বলেন, ‘ভারত আজ বিশ্ববন্ধু। গোটা বিশ্বেই বড় কোনও শত্রু নেই। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো অন্য দেশের উপর নির্ভরশীলতা।’

    রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন ট্রাম্প। এই নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনাও চালাচ্ছে ওয়াশিংটন। তবে রফাসূত্র এখনও মেলেনি। এর মধ্যেই H-1B ভিসা পেতে ১ লক্ষ ডলার ফি দিতে হবে বলে ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭১ শতাংশ আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়র কাছে এই ভিসাই রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই নির্ভরতা কমাতে হবে।

    সেই কারণেই হয়তো মোদী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘এই জিনিস ভয়ঙ্কর। আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর ভবিষ্যৎ আমরা অন্যের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না।’ এতে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে চলেছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি। মোদীর কথায়, ‘একশো দুঃখের একমাত্র ওষুধ হলো আত্মনির্ভর ভারত।’

    অন্যের উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকলে ব্যর্থতার মুখ দেখতেই হবে। এমনটাই মনে করেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘যত বেশি বিদেশি নির্ভরতা, তত বেশি ব্যর্থতা। বিশ্বশান্তি স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য ভারতকে আত্মনির্ভর হতে হবে। অন্যের উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকলে নিজেদের আত্মসম্মান ক্ষুন্ন হয়।’

    প্রসঙ্গত, H-1B ভিসা পেতে গেলে এখন থেকে আবেদনকারীকে ১ লক্ষ ডলার দিতে হবে। অর্থাৎ প্রায় ৯০ লাখ টাকা। যা কোনও নতুন H-1B ভিসা হোল্ডারের বার্ষিক গড় বেতনের চেয়েও বেশি। উল্লেখ্য, এই ভিসা নিয়েই আমেরিকায় চাকরি করতে যান ভারতীয়রা। ফলে আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয় চাকরিজীবীদের কাছে এটা বড় ধাক্কা।

  • Link to this news (এই সময়)