• খড়্গপুর আইআইটিতে গবেষকের মৃত্যু, ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
    এই সময় | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ফের খড়্গপুর আইআইটিতে অস্বাভাবিক মৃত্যু। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে আবারও ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার আইআইটি খড়্গপুরে! শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ বিআর আম্বেদকর হল থেকে এক গবেষকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে খড়্গপুর টাউন থানার অধীন হিজলি ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম হর্ষকুমার পাণ্ডে (২৭)। বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, নেপথ্যে কী কারণ, তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।

    পুলিশ ও আইআইটি সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বারিয়াতু থানা এলাকার বাসিন্দা হর্ষকুমার পাণ্ডে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি থেকে বিটেক ও মোতিলাল নেহরু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে এমটেক করার পরে আইআইটিতে পিএইচডি করতে আসেন।

    এ দিন দুপুরে হর্ষের বাবা মনোজকুমার পাণ্ডে ছেলেকে ফোনে না পাওয়ায়, আইআইটির নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা গিয়ে দেখেন, হর্ষের রুম বন্ধ। এর পরেই হিজলি পুলিশকে খবর দেন কর্তৃপক্ষ। ২টো নাগাদ দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় আইআইটি খড়্গপুরের বিসি রায় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    এই নিয়ে শুধুমাত্র চলতি বছরেই ৬ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো আইআইটি খড়্গপুরে। এর মধ্যে পাঁচ জনের ক্ষেত্রেই ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই রাতে গলায় ওষুধ আটকে মৃত্যু হয় মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার বাসিন্দা তথা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র চন্দ্রদীপ পাওয়ারের।

    ঠিক তিন দিন আগেই, ১৮ জুলাই সকালে রাজেন্দ্রপ্রসাদ হলের ডি-২৪১ নম্বর রুম থেকে উদ্ধার হয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তথা কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা ঋতম মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ। ঋতমের মৃত্যুর ক্ষেত্রে আত্মহত্যার তত্ত্বেই এখনও অবধি সিলমোহর দিয়েছে পুলিশ।

    চলতি বছরের ২৩ জুন দায়িত্ব নেওয়ার পরেই পড়ুয়াদের আত্মহত্যা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেন ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী। সেতু অ্যাপ, মাদার ক্যাম্পাস-সহ মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশের জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে পড়ুয়াদের সঙ্গে মশাল মিছিলে পা-ও মেলান তিনি। কিন্তু অন্ধকার কাটল কি? শনিবারের ঘটনা উস্কে দিচ্ছে সেই প্রশ্ন।

  • Link to this news (এই সময়)