• কর্নাটকের ১৪টি মন্দিরের পরিষেবা ফি বাড়ল, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে 'হিন্দু বিরোধী' বলে তোপ বিজেপির...
    আজকাল | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কর্নাটক সরকার মুজরাই বিভাগের অধীনস্ত ১৪টি প্রধান মন্দিরে ভক্তদের জন্য পরিষেবা ফি বৃদ্ধি করেছে। রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের এহেন পদক্ষেপে সমালোচনায় মুখর বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। পদ্ম শিবিরের তরফে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে রাজ্যের হিন্দু মন্দিরের জন্য "প্রতিবন্ধকতা তৈরির" করার অভিযোগ তুলেছেন।

    নির্দেশিকায় উল্লেখ, ওই ১৪টি মন্দিরে পরিষেবা ফি বৃদ্ধি পয়লা অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

    ১৪টি মন্দিরের মধ্যে রয়েছে শ্রী যোগনারসিংহ স্বামী মন্দির এবং বেঙ্গালুরুতে শ্রী নন্দী তীর্থ স্বামী মন্দির (মল্লেশ্বরম), শ্রী বিদুরশ্বথ নারায়ণ স্বামী মন্দির এবং শ্রী ভু নীলা সমেতা ভেঙ্কটরমনস্বামী মন্দির (তালাকায়লাবেট্টা), চিক্কাবল্লাপুরের শ্রী টেলেশ্বর মন্দির, কুকলেশ্বর শ্রীমতি মন্দির। (পুত্তুর), শ্রী মহাগনপতি মন্দির (সাউথদকা), দক্ষিণ কন্নড়ের শ্রী সূর্য নারায়ণস্বামী মন্দির (মারোলি), বেঙ্গালুরু দক্ষিণে শ্রী অঞ্জনেস্বামী মন্দির (দেবরাহোসাহল্লী), শ্রী হালু রামেশ্বর মন্দির (দেবপুরা, হোসাদুর্গা শ্রী, হোসাদুর্গা) রায়চুরের মন্দির (দেবসুগুর) এবং শ্রী দুর্গাপারমেশ্বরী মন্দির (মন্দার্থী, (উদুপির ব্রহ্মবর তালুক)।

    আইএএনএস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, কুক্কে সুব্রহ্মণ্য স্বামী মন্দিরে, জনপ্রিয় অশ্লেষা পুজো এবং নাগর প্রতিষ্ঠে আচার-অনুষ্ঠানের ফি ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। অন্যান্য সমস্ত আচার-অনুষ্ঠানের ফি-ও বাড়ানো হয়েছে।

    এছাড়াও, সরকার মুজরাই বিভাগের অধীনে ৩৪,৫৬৬টি মন্দিরকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে। এর মধ্যে - ২০৫টি 'ক' শ্রেণীতে, ১৯৩টি 'খ' শ্রেণীতে এবং ৩৪,১৬৮টি 'গ' শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত।

    মুজরাইয়ের মন্ত্রী রামালিঙ্গ রেড্ডি বলেছেন যে, পরিষেবা ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট মন্দির পরিচালন সমিতির তরফে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকারি আদেশ জারি করেছে।

    মন্ত্রী রামালিঙ্গ রেড্ডি বলেছেন, "কর্নাটকের মুজরাই বিভাগের অধীনে ৩৫,০০০ মন্দির রয়েছে। প্রতিটি মন্দিরের একটি পরিচালন বোর্ড থাকে যারা এই ধরনের সংশোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারপর অনুমোদন চায়। ৩৫,০০০ মন্দিরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি সংশোধনের আবেদন করেছে এবং সেগুলি অনুমোদিত হয়েছে। সরকার এতে হস্তক্ষেপ করে না। তাছাড়া, এই মন্দিরগুলি থেকে অর্জিত অর্থ সরকারি কোষাগারে আসে না বা বাইরেও যায় না। এটি শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট মন্দিরের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হয়।"

    সরকারি আধিকারিকদের দাবি, ফি বৃদ্ধির সংশোধনটি কর্নাটক হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং দাতব্য দান আইন, ২০০২ অনুসারে পরিচালিত হয়েছে। প্রোটোকল অনুসারে, সংশোধনের প্রস্তাব মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটি দ্বারা শুরু করা হয়, ডেপুটি কমিশনার বা নির্বাহী কর্মকর্তারা যাচাই করেন এবং সিনিয়র আগমা পণ্ডিতদের সঙ্গে পরামর্শ করে ধর্মীয় দান কমিশনার দ্বারা অনুমোদিত হয়।

    তবে, বিরোধীদলীয় নেতা আর. অশোক শনিবার রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, "হিন্দু মন্দির, উৎসব এবং উদযাপনে বাধা সৃষ্টি করে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া কী ধরণের বিকৃত আনন্দ পান তা আমি বুঝতে পারছি না। আর এখন, রাজ্য জুড়ে ১৪টি প্রধান মুজরাই মন্দিরে পরিষেবা ফি বাড়িয়ে তিনি হিন্দুদের উপর আরেকবার আঘাত করেছেন।"
  • Link to this news (আজকাল)