আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজো ভাসবে বৃষ্টিতে? এই আশঙ্কাই গ্রাস করছে বাঙালিকে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর–পূর্ব ও পূর্ব–মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেই সঙ্গে রয়েছে তিনটি ঘূর্ণাবর্ত। পুজোর মুখেই ২৫–২৬ সেপ্টেম্বর নিম্নচাপটি তৈরি হওয়ার কথা। পরে গভীর নিম্নচাপ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল নিম্নচাপে পরিণত হলে বাংলাজুড়ে টানা বৃষ্টি হবে।
এদিকে, পুজোর আগে আজ শেষ শনিবার। এদিনও বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই। শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। রবিবার অর্থাৎ মহালয়ায় একই পূর্বাভাস রয়েছে নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে। সোমবার এবং মঙ্গলবার কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের সব ক’টি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি হতে পারে। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৩০-৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে সোমবার অবধি আটটি জেলাতেই ভারী বর্ষণের (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি বেশি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। তবে রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। এখনও পর্যন্ত রবিবার থেকে আর কোনও জেলায় আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা নেই।
দুর্গাপুজো নিয়ে শুক্রবার বিশেষ বিবৃতি দিয়েছে হাওয়া অফিস। বলা হয়েছে, ষষ্ঠীর দু’দিন আগে নতুন করে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তা ক্রমশ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ফলে পঞ্চমী থেকে দশমীতে দক্ষিণবঙ্গে কমবেশি বৃষ্টি চলবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়তে পারে পুজোর শেষের দিকে, নবমী এবং দশমীর দিন। অর্থাৎ হাওয়া অফিসের কথায়, ২৫ কিংবা ২৬ সেপ্টেম্বর একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা। যা পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৬ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দু’এক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর অবধিও রয়েছে একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। নবমীর রাত থেকে দশমী পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।তবে উত্তরবঙ্গে পুজোয় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.১ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি কম।
হাওয়া অফিসের কথায়, এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বাতাসের উপরিভাগে একটি নিম্নচাপরেখা সক্রিয় রয়েছে। তার প্রভাবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। দক্ষিণেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে স্থলভাগে। সেই কারণেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে।