সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গুলির শব্দে ঘুম ভাঙল জম্মু ও কাশ্মীরবাসীর। শুক্রবার রাত থেকে জম্মুর উদমপুর, ডোডা ও কাঠুয়া জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চলা এই অভিযানে এক সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গলঘেরা এই এলাকায় ৪ জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিকে ঘিরে ফেলেছে সেনা। চলছে গুলির লড়াই।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, উদমপুর, ডোডা ও কাঠুয়া জেলা বিশিষ্ট জঙ্গলঘেরা এলাকায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার গোপন খবর এসেছিল নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে। সেইমতো প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামে পুলিশ, সেনা ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। জঙ্গল ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেই সময় অতর্কিতে সেনার উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। এই হামলায় এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পালটা প্রস্তুতি নিয়ে জঙ্গিদের কার্যত কোনঠাসা করে ফেলা হয়েছে। অন্তত চারজন জইশ জঙ্গিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। গুলির লড়াই এখনও চলছে।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, শেষ দুই সপ্তাহের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান। এর আগে কূলগাম অভিযান চালিয়েছিল সেনা। সেখানে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক সেনা আধিকারিক-সহ মোট ২ জওয়ান শহিদ হন। পালটা জবাবে দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর উপত্যকা থেকে সন্ত্রাসের জাল ছিঁড়ে ফেলতে তৎপর হয়েছে সেনা। ব্যাপক ধড়-পাকড়ের পাশাপাশি জঙ্গি নিধন যজ্ঞ। এরপর শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেবে’ পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত ৩ জঙ্গিকেই খতম করেছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার পর গত তিন মাস ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল তারা।
সম্প্রতি জঙ্গিদের কাছে থাকা টি৮২ আল্ট্রাসেট কমিউনিকেশন ডিভাইস চালু করে জঙ্গি মুসা। সেই ডিভাইসের মাধ্যমে জঙ্গিদের লোকেশন জেনে নিয়েই অপারেশন চালায় সেনা। খতম হয় তিন জঙ্গি। গত মাসেই একাধিক অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। আধাসেনার তৎপরতায় ব্যর্থ হয় সে চেষ্টা। গুলিতে মৃত্যু হয় একাধিক জঙ্গির।