• প্রথম দিনে যাত্রী মাত্র দু’জন! রেলের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে পুজো স্পেশাল টয় ট্রেন
    প্রতিদিন | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: পুজো স্পেশাল টয় ট্রেন চালু করেই মুখ থুবড়ে পড়ল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। শুক্রবার দুপুরে মাত্র দু’জন পর্যটক নিয়ে ছুটল স্পেশাল জয়রাইড টয়ট্রেন। তাতেই মাথায় হাত পড়েছে রেলের। কারণ এভাবে ট্রেন চালালে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হবে রেলকে। তাই বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছে ডিএইচআর।

    পুজোর ছুটির মরশুমে পর্যটকদের মধ্যে টয় ট্রেনের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। অনেক পর্যটকরাই টিকিট না পেয়ে ফিরে যান। যে কারণে এবার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই চলতি সপ্তাহ থেকে তিন স্টিম ইঞ্জিন চালিত টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করে ডিএইচআর। একটি শিলিগুড়ি থেকে রংটং পর্যন্ত টি এন্ড টিম্বার স্পেশাল জয়রাইড, একটি দার্জিলিং কার্শিয়াং হিল স্পেশাল ও আরেকটি কার্শিয়াং মহানদী সানরাইজ স্পেশাল। প্রতিটি জয়রাইডেই প্রকৃতি ও স্থানীয় লোকোশিল্প ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। সেইমতো শুক্রবার দুপুরে ১২ টা নাগাদ শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ‘টি এন্ড টিম্বার স্পেশাল জয়রাইড’। কিন্তু সেই জয়রাইডে পর্যটক ছিল মাত্র দু’জন। তাঁরা কলকাতার দম্পতি। আর এতেই আরও বেশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কারণ, শিলিগুড়ি- রংটংয়ের মধ্যে প্রতি শুক্র, শনি ও রবিবার চলবে ওই জয়রাইডটি। বেলা ১২ টায় শিলিগুড়ি থেকে রওনা দিয়ে দেড়টায় রংটংয়ে পৌঁছবে টয়ট্রেনটি। রংটংয়ে চার ঘণ্টা ঘোরার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। হাতের কাছেই রয়েছে চা বাগান। সেখানে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি চা কারখানা পরিদর্শন, চা-পাতা তোলার অভিজ্ঞতা এবং স্থানীয় লোকো সংস্কৃতির খাবারে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন থাকবে পর্যটকদের জন্য। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামা পর্যটকদের কাছে পরিষেবাটি জনপ্রিয় হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খেল ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ। গোটা ট্রেনে ওই দম্পতি ভিআইপিদের মতো জয়রাইডের মজা উপভোগ করলেন। চার বছর আগে এই জয়রাইডটি চালু করেছিল ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ। তখন নাম দেওয়া হয়েছিল জঙ্গল টি সাফারি। কিন্তু সেই স্পেশাল জয়রাইডটি সাফল্য না পাওয়ায় তা ওই বছরই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার টি এন্ড টিম্বার স্পেশাল স্টিম জয়রাইডের নাম দিয়ে পুনরায় চালু করা হল ওই টয়ট্রেন পরিষেবা।

    কলকাতার পর্যটক সুশোভন তরফদার বলেন, ‘‘এর আগে একই পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। সেবার যেতে পারিনি। এবার প্রথম যাচ্ছি। কলকাতা থেকে অনেক পর্যটক পুজোয় আসবে। আশা করি সাফল্য পাবে। তবে এখন ট্রেনে মাত্র আমরা দু’জনই রয়েছি।’’ স্ত্রী মৌমিতা বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমি ও আমার স্বামী যখন এই জয়রাইডের কথা শুনেছি, তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল। এদিন প্রথম এই পরিষেবা চালু হল। আর আমরাও প্রথম যাত্রী৷ খুব ভালো লাগছে। মাঝে জঙ্গল ও চা বাগান দেখতে পারব।’’ ডিএইচআরের অধিকর্তা ঋষভ চৌধুরী বলেন, ‘‘মাঝে ধসের কারণে টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় একটা নেতিবাচক প্রভাব পর্যটকদের মধ্যে পড়েছে। যে কারণে পর্যটক হয়নি। আমরা আরও বেশি করে এই পরিষেবা নিয়ে প্রচার চালাব।’’
  • Link to this news (প্রতিদিন)