অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে ভারতীয় নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ। আর সেই কাজে হাত লাগিয়েছে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (BARC)। তারা এমন একটি রিঅ্যাক্টর তৈরি করছে যার সাহায্যে নৌবাহিনীর নেক্সট জেনারেশন সাবমেরিনের কার্যক্ষমতা বেড়ে যাবে বহুগুণ।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, BARC-এর এক গবেষকের সূত্রে জানা গিয়েছে, পারমাণবিক শক্তিচালিত এস ফাইভ ক্লাস ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন এবং অ্যাটাক সাবমেরিনের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ প্রযুক্তি। অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এই প্রজেক্ট চলছে বলে সূত্রের খবর।
ভারত মহাসাগর এলাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন তার নৌবাহিনী আধুনিক করছে। সেই দিকে তাকিয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতও।
নতুন যে রিঅ্যাক্টর তৈরি হচ্ছে, তা ২০০ মেগাওয়াট ইলেকট্রিক শক্তি উৎপাদন করতে পারবে। শক্তির নিরিখে এটা অনেকটাই বড় লাফ। এখন INS Arihant এবং INS AriGhaat-এই ২টি নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড সাবমেরিনে যে রিঅ্যাক্টর রয়েছে সেগুলি ৮৩ মেগাওয়াট ইলেকট্রিক শক্তি উৎপাদন করতে পারে। আরও একটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড সাবমেরিন INS Aridhman এখন ট্রায়ালে রয়েছে।
BARC-এ কাজ চলছে, তা সফল হলে একলাফে অনেকটা বেড়ে যাবে নৌবাহিনীর শক্তি। গোপনে শত্রুর জাহাজে নজর রাখা, নিজেকে লুকিয়ে নৌযুদ্ধে আঘাত হানা-সহ নানা কারণে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের গুরুত্ব এখন আকাশছোঁয়া। নতুন প্রযুক্তি হাতে এলে আরও অনেক বেশি সময় ধরে ডুবে থাকবে এবং কাজ করতে পারবে আধুনিক সাবমেরিনগুলি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিউক্লিয়ার ট্রায়াডের (Nuclear Traid) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো নৌবাহিনী। সেকেন্ড স্ট্রাইকের জন্য নিউক্লিয়ার সাবমেরিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।