'বিয়ে করবি কিনা বল', উত্তর দিতে না পারায় প্রেমিকের বুকে পরপর ছুরির কোপ, তরুণীর কাণ্ডে শিউরে উঠলেন সকলে ...
আজকাল | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটি। বচসা কিছুক্ষণের মধ্যেই চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। শেষমেশ প্রেমিককেই কুপিয়ে খুন করল ২৪ বছর বয়সি এক তরুণী। যে হত্যাকাণ্ডে রীতিমতো চোখ ছানাবড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ছাতরা জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। লাতেহার জেলার সসাং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ৩৪ বছরের মহম্মদ মুন্তাজির। অন্যদিকে ছাতরা জেলার লামতা গ্রামের বাসিন্দা নুরজাহান ওরফে সাব্বু পারভীন। জানা গেছে, মুন্তাজির নুরজাহানের সঙ্গে দেখা করতে ছাতরায় এসেছিলেন।
সাক্ষাতের কিছুক্ষণ পরেই বিয়ের প্রসঙ্গে তাঁদের মধ্যে কথা শুরু হয়। বিয়ের প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতেই ঝগড়া, ঝামেলা শুরু হয় প্রেমিক যুগলের মধ্যে। নুরজাহান মুন্তাজিরকে বিয়ে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতেই সমস্যা তৈরি হয়। অবশেষে বচসার মাঝেই যুবককে কুপিয়ে খুন করেন প্রেমিকা। মুন্তাজিরকে তড়িঘড়ি করে ছাতরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই রাঁচির হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই হাসপাতালে যাওয়ার পথেই যুবকের মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত নুরজাহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত ছুরিটিও হেফাজতে নিয়েছে তারা। মৃত্যুর আগে নুরজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মুন্তাজির। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফ আই আর দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই এই রাজ্যে আরও একটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায়। মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাওয়ান থানার অন্তর্গত এলাকা দিয়ে দুই যুবতীই নিখোঁজ হন। সোমবার সন্ধ্যায় গোলগো পাহাড়ি এলাকার জঙ্গল থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার পরেই খারসান জেলার বাসিন্দা শ্রীকান্ত চৌধুরী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতেরা হলেন সোনি দেবী (২৩) এবং রিঙ্কু দেবী (৩১)। দুজনেই নীমাধী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। দুই বান্ধবীকে খুনের অভিযোগে শ্রীকান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দুই বান্ধবীর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ জানা যাবে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোনি বিবাহিত ছিলেন। তা সত্ত্বেও শ্রীকান্ত চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যে সম্পর্কের জেরে গত দুই বছর আগে গ্রামে ব্যাপক অশান্তিও হয়েছে। পঞ্চায়েত ডেকে বিষয়টি মিটমাট করা হয়। সোনির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর জন্য শ্রীকান্তকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। এত অশান্তির পরেও সোনি ও শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক ভাঙেননি।
সোনির পরিবার জানিয়েছে, দিন কয়েক আগেই শ্রীকান্ত তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। কথা বন্ধ করলে, যোগাযোগ না রাখলে সোনিকে খুন করবেন বলে হুমকি দেন। গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী বান্ধবীর সঙ্গে জঙ্গলে পাতা কুড়াতে গিয়েছিলেন সোনি। তারপর দুজনের কেউই আর বাড়ি ফেরেননি। দুইদিন পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন সোনির মা। শ্রীকান্তের উপর যে সন্দেহ ছিল, তাও পুলিশকে জানান। এমনকী সোনির ফোনটিও পুলিশকে দেন।
এরপরই শ্রীকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরায় খুনের ঘটনাটি তিনি স্বীকার করে নেন। এমনকী দেহ দুটি কোথায় রয়েছে, তাও পুলিশকে জানান। তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার জেরে ঝাড়খণ্ডের ওই গ্রামের বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।