'তোমার শরীর দাও...পদক দেব' ছাত্রীকে লাগাতার যৌনতায় বাধ্য করে গ্রেপ্তার যোগ গুরু!...
আজকাল | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরুর আরআর নগর থানার পুলিশ গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক যোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তের নাম এম. নিরঞ্জনা মূর্তি (৫৫)। তিনি বেঙ্গালুরুর সানশাইন দ্য ইয়োগা জোন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এবং একই সঙ্গে কর্ণাটক যোগাসন স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের (KYSA) প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূর্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাবালিকা এক যোগ শিক্ষার্থীকে চাকরির সুযোগ ও বিদেশ সফরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করেছেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর ধারা ৬৯ (প্রতারণার মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন) ও ৭৫(২) (যৌন হয়রানি) এবং পকসো আইন (২০১২)-এর ধারা ১২ (শিশুকে যৌন হয়রানি)-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী তরুণী প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন ৩০ আগস্ট, ২০২৫-এ। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ২০১৯ সাল থেকে মূর্তিকে চিনতেন। ২০২১ সাল থেকে যোগ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিদেশে যাতায়াত শুরু করেন। প্রথম অভিযোগ অনুসারে নির্যাতন ঘটে ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতায়, যেখানে মূর্তি তাকে যৌন নির্যাতন করেন বলে এফআইআরে উল্লেখ রয়েছে। এরপর মানসিক চাপে তিনি প্রতিযোগিতা ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন: 'বিয়ে করবি কিনা বল', উত্তর দিতে না পারায় প্রেমিকের বুকে পরপর ছুরির কোপ, তরুণীর কাণ্ডে শিউরে উঠলেন সকলে
২০২৪ সালে তিনি মূর্তির প্রতিষ্ঠিত সানশাইন দ্য ইয়োগা জোন-এ যোগ দেন। ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে আবারও প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে যৌনতায় বাধ্য করেন মূর্তি। ২২ আগস্ট তিনি পুনরায় রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় পদক ও সুযোগ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তরুণীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
অবশেষে অসহনীয় মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে তরুণী তার পরিবারের কাছে বিষয়টি জানান এবং পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন। এম. নিরঞ্জনা মূর্তি যোগক্ষেত্রে পরিচিত নাম। তিনি যোগবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রিধারী। জাতীয় যোগদলকে ১২ বার নেতৃত্ব দিয়েছেন।কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে তিনি লাইফ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড সহ একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন।
আরআর নগর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তখন ১৭ বছর বয়সী ছিলেন। এখন তার বয়স ১৯। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, অভিযুক্ত মূর্তির বিরুদ্ধে এর আগেও কি একই ধরনের অভিযোগ এসেছে কি না। এই ঘটনায় রাজ্যের যোগ সমাজে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।