• ফের খড়্গপুর আইআইটিতে মৃত্যু মেধাবী ছাত্রের! কী কারণে মৃত্যু? ঘনাচ্ছে রহস্য...
    আজকাল | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের এক মেধাবী ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে শিরোনামে উঠে এলো আইআইটি খড়গপুর। এবার বি আর আম্বেদকর হল থেকে উদ্ধার হল ভিন রাজ্যের এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃত ছাত্রের নাম হর্ষ কুমার পান্ডে (২৭)। বাড়ি ঝাড়খন্ডে। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। 

    সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাঁচির বারিয়াতু থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন হর্ষ কুমার পান্ডে। তিনি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি থেকে বিটেক ও মতিলাল নেহেরু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে এমটেক করার পর খড়গপুর আইআইটিতে পিএইচডি করতে আসেন। শনিবার দুপুরে তাঁর বাবা মনোজ কুমার পান্ডে হর্ষকে একাধিকবার ফোন করেন। কিন্তু ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তখনই আইআইটি কর্তৃপক্ষর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করে বিষয়টি তাঁদের জানান। তাঁরা গিয়ে প্রথমে পড়ুয়ার ঘর ভিতর থেকে বন্ধ দেখেন।

    এরপর ওই পড়ুয়াকে তাঁর ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। উদ্ধারের পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে খড়গপুর টাউন থানার হিজলি ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তবে কী কারনে মৃত্যু হল সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, একের পর এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। চলতি বছরেই ছয় পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তা নিয়ে একদিকে যেমন উদ্বিগ্ন আইআইটি কর্তৃপক্ষ,  অন্যদিকে উদ্বিগ্ন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।

    প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই  এক ছাত্রের মৃত্যু হয় আইআইটি খড়্গপুরে। জানা গিয়েছে, শ্বাসনালীতে ওষুধ আটকে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে। তবে কোনও লাভ হয়নি। কিছু ক্ষণ পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের নাম চন্দ্রদ্বীপ পাওয়ার (১৯)। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি। নেহেরু হলে থাকতেন। বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায়। মঙ্গলবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে খাওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছিলেন চন্দ্রদ্বীপ। সেই সময় কোনও কারণে শ্বাসনালীতে ওষুধ আটকে যায়। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত তাঁকে আইআইটি খড়গপুরের বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা চিকিৎসা শুরু করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃতের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।

    চলতি বছরের  জানুয়ারিতে মৃত্যু হয়েছিল শোয়ান মালিক নামে এক পড়ুয়ার। তার দু'মাসের মাথায় অর্থাৎ মার্চ মাসে উদ্ধার হয় মহম্মদ আসিফ কামার নামে এক পড়ুয়ার। এপ্রিলে অনিকেত ওয়ালকর নামে এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। 

    ১৮ জুলাই কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা ঋতম মণ্ডলের মৃত্যু হয়। তাঁর ঘরের ভিতর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঋতমের মৃত্যুর তিন দিনের মাথায়, ২১ জুলাই রাতে খাওয়ার পর ওষুধ খেতে গিয়ে গলায় ওষুধ আটকে প্রাণ হারান চন্দ্রদীপ পওয়ার নামের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
  • Link to this news (আজকাল)