• রাজ্যের জীবিত শতায়ু ও মৃত ভোটার তালিকা চাইল নির্বাচন কমিশন
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • চলতি বছরের নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে বিহারে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। সে কারণে জুন থেকে বিহারে চলছে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এসআইআর, যার জেরে বিহার তথা দেশের রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। এদিকে বছর ঘুরলেই বাংলায়ও বিধানসভা নির্বাচন। বাংলাতেও ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী চালু হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। ভোটার তালিকা সংশোধন করতে প্রমাণপত্র হিসাবে কী কী নথি জমা দেওয়া যাবে, তা বাংলায় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তার আগেই এবার রাজ্য ভোটার তালিকায় ১০০ বা তার বেশি বয়স্ক ভোটারদের মধ্যে কত জন জীবিত রয়েছেন, তা নিয়ে তথ্য চাইল নির্বাচন কমিশন।

    রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দপ্তর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় প্রায় ১৩ হাজার নাম পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা শতায়ু পার করেছেন। কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, ঝাড়গ্রাম–সহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছেন এই শতায়ু ভোটাররা। ভোটার তালিকায় কারও বয়স ১০০, কারও আবার ১০৬। কোচবিহারের শীতলকুচি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে ১১৪ বছর বয়সী ভোটারও রয়েছেন।

    ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের শতায়ু ভোটারদের প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জীবিত না মৃত তার লিখিত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে। ভোটার তালিকায় প্রায় আড়াই হাজার মৃত ভোটার রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইআরও-রা। অনেকে বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন বলেও খবর। তবে এখনও তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়লে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই প্রত্যেক ইআরও–কে শতায়ু ভোটারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের স্বাক্ষর–সহ লিখিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই রিপোর্টই সিইও দপ্তর সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেবে। স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর চালু হওয়ার আগেই ইআরও–দের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)