গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে পুজো মণ্ডপগুলিতে। উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত শহর বসিরহাটেও একাধিক দুর্গাপুজো হচ্ছে। উৎসবের দিনগুলিতে আঁটসাঁট নিরাপত্তার জন্য সতর্ক পুলিশ-প্রশাসন। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য কড়া নজরদারিও রাখা হবে বলে খবর।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুজো চলাকালীন বসিরহাট মহকুমার প্রতিটি এলাকায় নজরদারি থাকবে। ইতিমধ্যেই গোটা মহকুমাজুড়ে বসেছে সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তায় কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ পুলিশ-প্রশাসন। পাশাপাশি বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ গাইডলাইন জারি হয়েছে। ভিড় সামলানো, যানজট নিয়ন্ত্রণ ও নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আগাম পদক্ষেপ করা হবে।
উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত শহরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সদাসতর্ক পুলিশ প্রশাসন। বসিরহাট পুলিশ জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ডক্টর হোসেন মেহেদী রহমানের নেতৃত্বে মহকুমা শাসক আশিস কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ, বসিরহাট থানার আইসি রক্তিম বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অদিতি রায়চৌধুরী, টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, মিনাখাঁর বিধায়িকা ঊষারানি মণ্ডল এবং বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্সী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি ও পুজো কমিটির কর্তার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন।
জানা গিয়েছে, প্রতিটি মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ভিড় সামলানো, প্রতিমা দর্শনের সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বেও থাকছে পুলিশ-প্রশাসন। অন্যদিকে টাকি ঘাটে বিসর্জনের জন্য নির্দিষ্ট দিন ঠিক হয়েছে। ইছামতীতে বিসর্জন দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। নিরাপত্তার তাগিদে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। নিরাপত্তার আঁটসাঁট বেষ্টনীতে এবারের দুর্গোৎসব হবে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর—এমনটাই আশ্বাস পুলিশের।