• ‘মার গুলি…!’ ভিডিও ভাইরাল হতেই কুড়মি বিক্ষোভে রণক্ষেত্র কোটশিলা স্টেশন, কাঁদানে গ্যাস পুলিশের
    প্রতিদিন | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া:  বেলা গড়াতেই কুড়মি বিক্ষোভে রণক্ষেত্র পুরুলিয়ার কোটশিলা স্টেশন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। কুড়মিদের সঙ্গে সংঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক জখম হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। জানা যায়, একটি ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে শনিবার দুপুরে পরিস্থিতি একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভাইরাল ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘মার গুলি কাকে আইন শেখাচ্ছে।’ আর এই ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। পালটা কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।

    তফসিলি জনজাতির তকমা চেয়ে এদিন অনির্দিষ্টকালের রেল এবং সড়ক অবরোধের ডাক দেয় কুড়মিরা। যদিও আগেই কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে এই কর্মসূচিকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরেও অবরোধ কর্মসূচি পালনের সবরকম চেষ্টা চালান কুড়মিরা। ঝাড়খণ্ডে সকালে রেল অবরোধ করেন কুড়মিরা। যদিও পুরুলিয়ার বিভিন্ন স্টেশনে পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। পুলিশের কাছে খবর ছিল দূরবর্তী কোনও এলাকায় বিশেষ করে জঙ্গলমহলে কুড়মিরা রেল লাইনের ট্র্যাকে অবরোধ করতে পারে। সেই মতো পুরুলিয়ার কোটশিলার পাশে জিউদারু গ্রামে এরিয়া ডোমিনেশন চালায় পুলিশ।

    যদিও কুড়মিদের অভিযোগ, রেল ও সড়ক অবরোধ না করে হাইকোর্টের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। তারপরেও পুলিশ কেন বাধা দেবে? এই অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তারা। তবে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে দেখাতে শুরু করে কুড়মিদের একাংশ। এমনকী আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রেল লাইনেও তাঁরা নেমে পড়ে বলে অভিযোগ। এরপরেই কড়া হাতে তা নিয়ন্ত্রণ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি বেধে যায়। কোটশিলা স্টেশন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। পালটা কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশও।

    অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে অবশ্য সকাল থেকেই রেল অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন কুড়মিরা। মুরি, গালুডি, ডুমরি-পরেশনাথ, চন্দ্রপুরার পাশাপাশি ওড়িশার ভঞ্জপুর স্টেশনেও অবরোধ চলছে।

    পুলিশ-কুড়মি সংঘাতে প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবাতেও। দক্ষিণ পূর্ব রেলের ফোর্থ বুলেটিন অনুযায়ী, সমগ্র দক্ষিণপূর্ব রেলে ২১ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, বিকল্প পথে ৮টি ট্রেনকে চালানো হচ্ছে। ১৬টি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৯টি ট্রেনকে নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। যার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে সাধারণ মানুষ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)