• আরএসএস ও শঙ্করাচার্যদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছি, নয়া দাবি ইয়াসিন মালিকের
    বর্তমান | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: ২০০১ সালে দিল্লিতে আরএসএস নেতাদের সঙ্গে টানা পাঁচ ঘণ্টা কথা হয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিকের। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই আসামি জানিয়েছে, আমার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার বদলে আরএসএস নেতারা যোগাযোগ করে সরাসরি কথা বলেছিলেন। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থিঙ্কট্যাঙ্ক বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কে এন সুরিও বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সুরির নয়াদিল্লির আবাসন ও ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ডেকে পাঠানো হতো। ২০০১ সালে এই সেন্টারেই আরএসএস নেতাদের সঙ্গে তার পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়। জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার আরও দাবি, আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত কাশ্মীরি পণ্ডিত নেতা সুরেন্দ্র অমরধর বৈঠক করতে একাধিকবার তার শ্রীনগরের বাড়িতে এসেছিলেন। এছাড়া, অন্তত দু’জন শঙ্করাচার্যের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা হয়েছে। 

     হলফনামায় ইয়াসিন আরও জানিয়েছে, দীর্ঘ তিন বছরের আলাপ-আলোচনার পর ১৯৯৪ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাকে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমহা রাও। পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির ঘনিষ্ঠ আর কে মিশ্রের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছিল। সেই সময় তাকে একটি ফোনও দেওয়া হয়। ওপারে ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ধীরুভাই আম্বানি। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার দাবি, আম্বানি নম্র ও ভদ্রভাবেই কথা বলেছিলেন। ২০০০ সালের রমজান যুদ্ধবিরতির সময় তৎকালীন আইবি ডিরেক্টর শ্যামল দত্ত ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রিজেশ মিশ্রের সঙ্গেও বৈঠক হয়। ইয়াসিনের দাবি অনুযায়ী, ওই দুই আধিকারিক জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ি পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বিশেষ জোর দিচ্ছেন। মালিক জানিয়েছে, সাংবাদিক প্রেম শংকর ঝায়ের গল্ফ লিংকের বাড়িতে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক হয়েছিল। সেখানে ডঃ মনমোহন সিং, নাজমা হেপতুল্লা ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা হাজির ছিলেন।  ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)