• ভৌমিক বাড়ির উমা দশমীতে ইলিশ-পান্তা খেয়ে ফেরেন কৈলাসে
    বর্তমান | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • শ্যামল পাল, বাগডোগরা: দশমীতে ইলিশ আর পান্তা খেয়ে কৈলাসে ফেরেন উমা। শিবমন্দিরের ভৌমিক বাড়ির দুর্গাপুজোয় সঙ্গে থাকে পুঁটি মাছ ও শাপলা ভাজা। দেশ ভাগের আগে থেকে হয়ে আসা এই বনেদি বাড়ির পুজোর চারদিন আমিষ ভোগ নিবেদন করা হয় মাকে। 

    মাটিগাড়ার শিবমন্দিরের বাসিন্দা পিন্টু ভৌমিকের বাড়িতে এই পুজো হতে চলেছে। পুরনো সেই পারিবারিক নিয়ম রীতি অনুযায়ী শাক্ত মতে করা হয় দেবীর আরাধনা। বনেদি বাড়ির এই পুজোয় প্রথমে মাটির প্রতিমাতে পুজো হতো। বর্তমানে সুদূর রাজস্থান থেকে আনা পাথরের মূর্তিতেই পুজো পান উমা। বাড়িতেই তৈরি করা হয়েছে মায়ের মন্দির। ইতিমধ্যেই মন্দির পরিষ্কার, রং ও সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর চারদিন রুই, কাতলা, ভেটকি, চারাপোনা সহ নানান ধরনের মাছ, শাক-সবজি ও ভাজা মায়ের ভোগ হিসেবে রান্না হয়। নবমীতে কুমারীপুজো ও সহ সমাজসেবামূলক কর্মসূচি শেষ করে দশমীতে ইলিশ, পান্তা, পুঁটি মাছ, শাপলা ভাজা ভোগ দেওয়া হয় মাকে। 

    দেবীর বোধন থেকে দশমী পর্যন্ত নানান অনুষ্ঠান, ধুনুচি নাচের মাধ্যমে হইহুল্লোর করেই আনন্দের সঙ্গে পুজো কাটিয়ে আসছেন ভৌমিক বাড়ির সদস্য থেকে প্রতিবেশীরা। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা পিন্টু ভৌমিক জানান, দেশভাগের আগে থেকে পূর্বপুরুষরা পুজো করতেন। এরপর জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতে কয়েকবছর পুজো করা হলেও পারিবারিক সেই পুজোকে শিবমন্দিরে নিয়মিত আমরা করে আসছি।
  • Link to this news (বর্তমান)