• চূড়ামণ জমিদার বাড়ির পুজোয় হয় না অন্নভোগ
    বর্তমান | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • দিবাকর মজুমদার • ইটাহার

    ৫০০ বছর পুরনো দুর্গাপুজোয় ছিল মোষ বলির প্রচলন। পুজোর দিনে জমিদার বাড়িতে বসত বায়োস্কোপ। বর্তমানে বন্ধ রয়েছে পশুবলির প্রথা। জমিদারি নেই। তবে এখনও পরম্পরা মেনে অষ্ট ধাতুর সিংহবাহিনী দেবী দুর্গার মূর্তিতে পুজো দিয়ে শুরু হয় ইটাহারের চূড়ামণ জমিদার বাড়ির পুজো। এই জমিদার বাড়ির পুজোয় নেই অন্নভোগের রীতি। বর্তমানে বাড়ির মন্দিরে জোরকদমে চলছে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ। ফলে ব্যস্ত জমিদারের বংশধররা।

    তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ষোড়শ শতকে চূড়ামণ জমিদার বাড়িতে দুর্গা পুজোর সূচনা করেন জমিদার জগৎবল্লভ চৌধুরী। পরবর্তীতে জমিদার মোহিনীমোহন রায় চৌধুরীর আমলেও ধুমধাম করে মায়ের পুজো হতো। নদীপথে নৌকা নিয়ে পুজো দেখতে আসতেন অন্য এলাকার জমিদাররাও। মহানন্দা নদীর তীরেই রায় চৌধুরী বংশের জমিদারি ছিল। পরে চূড়ামণ জমিদার বাড়ির কিছুটা অংশ মহানন্দার গর্ভে তলিয়ে যায়। কালের নিয়মে জমিদারি প্রথা উঠে যায়। চূড়ামণ জমিদার বাড়ির দুর্গা পুজোয় ছিল মোষ বলির প্রথা। পুজোর দিন জমিদার বাড়ির দালানে বসত বায়োস্কোপ। দুর্গা পুজোতে গমগম করত জমিদারবাড়ির দালান। এই পরিবারের সদস্য কৌশিক রায় চৌধুরী বলেন, জমিদারি প্রথা না থাকলেও আমরা এখনও পুরনো রীতি মেনে মায়ের আরাধনা করি। তবে এখন পশুবলি বন্ধ। এখন নতুন মন্দিরে মায়ের পুজো হয়। 

    কৌশিকের সংযোজন, দশমীর দিন ঘট বিসর্জনের পর শুরু হয় মেলা  কর্মসূত্রে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভিনরাজ্যে থাকেন কৌশিক। ফলে চূড়ামণের বাড়িতে থেকে পুজোর আগে সমস্ত আয়োজন করেন জমিদার বাড়ির বধূ তথা কৌশিকের মা কৃষ্ণা রায় চৌধুরী ও বাবা জীবনাথ রায় চৌধুরীরা। জমিদার বাড়ির বধূ কৃষ্ণা বলেন, পুজোর আগে ছেলে, বউমা, নাতি সহ সকল আত্মীয় স্বজনরা দূরদূরান্ত থেকে আসেন। সকলে সকলে মিলে পুজোর কয়েকটা দিন 

    আনন্দ করি।
  • Link to this news (বর্তমান)