• মহালয়ায় ফরাক্কা থেকে গঙ্গাজল এনে দুর্গাপুজো
    বর্তমান | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নির্মাল্য সেনগুপ্ত, রায়গঞ্জ: প্রায় ৫০০ বছরের কাঠামো আজও পুরনো হয় না রাইগঞ্জ আদি সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে (বন্দর)। বহুবছর ধরে মহালয়ার দিন ফরাক্কা থেকে গঙ্গাজল বয়ে আনা হয় এই মন্দিরে। সেই জলেই ষষ্ঠীতে বোধন সম্পন্ন হবে দেবীর। এটাই নিয়ম। 

    কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে কোনও এক পাঞ্জাবী সাধু রায়গঞ্জ শহরের বন্দর এলাকায় এসে দুর্গা ও কালী পুজো শুরু করেছিলেন। আবার কারও মতে, কুলিক নদীপথে বাণিজ্য করতে আসা বণিকরা, পুজোর ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই থেকেই পুজো চলে আসছে। যা তখন থেকেই রাইগঞ্জ আদি সর্বজনীন দুর্গামন্দিরের পুজো হিসেবে ব্যাপকভাবে প্রসিদ্ধ হয়। এখনও সেই সময়কার পুরনো রীতিনীতি মেনেই পুজোআচ্চা চলে আসছে। যা আজও অমলিন। 

    এবছরও রায়গঞ্জ শহরের বন্দর এলাকার এই ঐতিহ্যবাহী দুর্গামন্দিরে জোরকদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি। রথযাত্রার দিন মন্দির প্রাঙ্গণে পুরনো কাঠামোতেই আনুষ্ঠানিকভাবে দেবীর একচালার মূর্তি তৈরি শুরু হয়। এখন চলছে মূর্তি তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ। রং করা হয়েছে মন্দিরটি। বন্দরের এই দুর্গামন্দিরের পরিচালন কমিটির অন্যতম সদস্য রূপেশ সাহা বলেন, এখানে দুর্গাপুজোর সূচনা হয় আনুমানিক ৫০০ বছর আগে। সেই থেকেই মা দুর্গার পুজো চলে আসছে। বহু বছরের মতো এবারও মহালয়ার দিনে ফারাক্কা থেকে গঙ্গা জল আনবেন স্থানীয় একজন। যিনি দীর্ঘবছর ধরে কাজটি করছেন। সেই গঙ্গাজলেই পুজোর আচার অনুষ্ঠান থেকে দেবীর বোধন সম্পন্ন হয়। 

    প্রাচীন এই পুজোয় এখনও গোটা রায়গঞ্জের মানুষ শামিল হন। অষ্টমীতে ভিড় উপচে পড়ে মন্দিরে। বিশেষ ডালা প্রদান করেন ভক্তরা। ওইদিন মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিতে হাজির হয় হাজার হাজার ভক্ত। আবার মায়ের বিসর্জনও হয় পুরনো রীতিনীতি মেনে। নৌকোয় করে দেবী মূর্তির নিরঞ্জন হয় কুলিক নদীতে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)